জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মনানগাগওয়া মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলুপ্ত করে নতুন একটি আইন অনুমোদন করেছেন। আইনটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জিম্বাবুয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং একে আফ্রিকায় মৃত্যুদণ্ডবিরোধী আন্দোলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
নতুন আইন অনুযায়ী, দেশে জরুরি অবস্থা জারি থাকলে প্রয়োজনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এই ব্যতিক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
ডিসেম্বরের শুরুতে জিম্বাবুয়ের পার্লামেন্ট মৃত্যুদণ্ড বিলোপের পক্ষে ভোট দেয়। প্রেসিডেন্ট মনানগাগওয়া সেই আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন।
জিম্বাবুয়ে সর্বশেষ ২০০৫ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল। এরপর থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ থাকলেও হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের জন্য আদালত এই দণ্ড দিয়ে আসছিল।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ দেশটিতে প্রায় ৬০ জন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডের বিধান জিম্বাবুয়েতে প্রথম চালু হয় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে।
বিচারমন্ত্রী জিয়াম্বি জিয়াম্বি বলেন, “মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্ত করা শুধু আইনি সংস্কার নয়, এটি ন্যায়বিচার ও মানবতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের প্রতীক।”