বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুর। এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু এর আগে ছোটবেলায়ও মানসিক অস্থিরতায় ভুগেছিলেন অর্জুন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনেতার বয়স যখন মাত্র ১০ বছর, সেই সময় তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। কারণ ওই সময়ে অভিনেত্রী শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বনি কাপুর।
শ্রীদেবীর সঙ্গে বনি কাপুরের সম্পর্কের জেরে মোনা শৌরির সঙ্গে বলিউড এই প্রযোজকের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। যা অর্জুনের শিশু মনে প্রভাব ফেলে বাজেভাবে।
বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর অর্জুন নিজেকে প্রথমে সামলাতে পারেননি। সেই বিচ্ছেদের জের প্রকটভাবে তার জীবনে প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের সংবাদমাধ্যম গালাত্তা মিডিয়ার সাথে এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা।
অর্জুন জানান, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের জেরে তার উপর মানসিক চাপ পড়ে। ফলে বাবা-ছেলের যে সুসম্পর্ক, তা কোনওদিনই বনি কাপুরের সঙ্গে তার গড়ে ওঠেনি।
অভিনেতা জানান, পড়াশোনাতেও বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের প্রভাব পড়ে। অর্জুন ছোট থেকে পড়াশোনায় ভালো ছিলেন। তবে বাবার ওই সিদ্ধান্ত তার মন ভেঙে দিয়েছিল। ফলে পড়াশোনাতেও তিনি নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারেননি।
শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর সৎ বোনেদের কাছাকাছি আসেন, জাহ্নবী-খুশিই নাকি আগলায় অর্জুনকে।
সবকিছু মিলিয়ে অর্জুন কাপুর শ্রীদেবীর সঙ্গে বাবার দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি একদমই মেনে নিতে পারেননি। তবে বড় হওয়ার পরে বাবার সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো হয়।
শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর সৎ বোনেদের কাছাকাছি আসেন। শ্রীদেবী ও বনির দুই মেয়ে, অর্থাৎ অর্জুনের দুই সৎ বোন জাহ্নবী ও খুশির সঙ্গেও অভিনেতার দারুণ সম্পর্ক। জাহ্নবী-খুশিই নাকি আগলে রাখে অর্জুনকে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও ভাইয়ের সঙ্গে দেখা মেলে তাদের।