বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার নয়, সারা ফুটবল দুনিয়ার ইতিহাসে মনে হয় সর্বকালের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। তারই পথ ধরেই উঠে আসা বার্সেলোনার। এর ধারাবহিকতায় বার্সালোনায় উঠে আসছেন লামিন ইয়ামাল। বাঁ পায়ের ছন্দের যাদুতে সৌন্দর্য ছড়ানো দু’জনের মধ্যে আছে অনেক মিল। এজন্য ইতোমধ্যে ইয়ামালকে বিশ্বজয়ী মেসির সাথে তুলনা করছেন অনেকেই।
এ নিয়ে বার্সেলোনার স্প্যানিশ প্রতিভা লামিন ইয়ামাল বলেন, মেসির সাথে নিজের তুলনা শুনতে ভালো লাগে। তবে নিজেকেও মেসির মতো স্বকীয় ফুটবলার হিসেবে দেখতে চান তিনি।
দুনিয়া দেখার ছয় মাস বয়সে লামিন ফটোশ্যুটে অংশ নেয়ার সুযোগ পান লিওনেল মেসির সাথে। পরে মেসির মতোই লা মাসিয়া ফুটবল একাডেমিতে বেড়ে উঠেন এই তারকা ফুটবলার। বার্সেলোনার জার্সিতেই পেশাদার ফুটবলে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন লামিন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সিনিয়র ফুটবলে নাম লেখানোর পর থেকে থেমে নেই ফুটবলের ম্যাজিক। একের পর এক রেকর্ড নিজের নামে করে নিচ্ছেন এই উইঙ্গার।
বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেকের দিন ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ (১৫ বছর ২৯০ দিন) ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। এরপর স্পেন জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেই দেশটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারদের অন্যতম হয়ে যান তিনি। তার চেয়ে কম বয়সে লা রোহাদের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন মাত্র চারজন খেলোয়াড়। বছরের অক্টোবরে গ্রানাদার বিপক্ষে প্রথম জালের দেখা পেয়ে লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে (১৬ বছর ৮৭ দিন) গোল করার কীর্তি গড়েন এই তরুণ প্রতিভা।
এরপর ২০২৪ সালের ইউরো আসরেও চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স উপহার দেন লামিন। টুর্নামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ড গড়ার পর স্পেনকে রেকর্ড চতুর্থবার ইউরোপসেরার মুকুট পরাতে বড় অবদান রাখেন তরুণ এই খেলোয়াড়। এক গোল ও চার অ্যাসিস্টে টুর্নামেন্টের সেরা হন উদীয়মান এই তারকা। সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন তিনি।
ফুটবলে বাঁ পায়ের ছন্দে বিশ্বকে এখন মাতিয়ে রেখেছেন এই তরুণ খেলোয়াড়। তার খেলা দেখে তরুণ লিওনেল মেসির সাথে অনেক মিল খুঁজে পান ফুটবল প্রেমিকরা। তাই এখন থেকেই তাকে মেসির উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা শুরু করেছেন ফুটবল দুনিয়া।
বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা ফুটবলারের সাথে নিজেকে তুলনায় টানতে রাজি নন লামিন। এ নিয়ে স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল আন্তেনা ত্রাইকে বলেন, ‘আমাকে ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের সাথে তুলনা করা হয়, এটা আমার ভালো লাগে। তবে মেসির মতো অনন্য উচ্চতায় পৌঁছানো সম্ভব না।’
কোচ শাভি এরনান্দেসের হাত ধরে পেশাদার ফুটবলের আলোচনায় আসেন লামিন। এর মধ্যেই লামিনের দুরন্ত পথচলা সবার নজর কেড়েছে, ফুটবলের বড় তারকার খ্যাতি যেন ছুটছে তার পিছু। কোচ আরো যোগ করে বলেন, লামিন কখনও বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে চান না, এখানে থেকেই তিনি হতে চান আগামী ফুটবলের কিংবদন্তি।
সূত্র : ইউএনবি