কিলার মিলারে এবার ‘খুন’ হলো পাকিস্তান। তার আট ছক্কার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হলো তাদের বোলিং লাইনআপ। সাথে যোগ দেন জর্জে লিন্ডে। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স তার। বিফলে গেলো মোহাম্মদ রিজওয়ানের প্রচেষ্টা।
মঙ্গলবার ডারবানে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ১১ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৮৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৮ উইকেটে ১৭২ রান পর্যন্ত তুলতে পারে সফরকারীরা।
কিংসমিডে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র চার ওভারে ২৮ রানে তিন উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনড্রিকস, রাসি ফন ডার ডাসেন ও ম্যাথু ব্রিটস্কির কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। তবে চতুর্থ উইকেটে মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেন মিলে গড়েন ৪৩ রানের জুটি।
ক্লাসেন বিদায় নেন একটি ছক্কায় ১২ রান করে। টিকতে পারেননি ডোনোভান ফেরেইরাও (৭)। তবে একপাশ আগলে একাই দলকে টানেন মিলার। দশম ওভারে আবরার আহমেদকে টানা তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ২৮ বলে।
১৩.৫ ওভারের মাথায় মিলার ঝড় থামে শাহিন আফ্রিদির বলে। বাউন্ডারিতে ইরফানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে করেন ৪০ বলে ৮২ রান। মাঝে আরো দুই উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ তখন ১৬ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪১।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮৩ পর্যন্ত যেতে পারে লিন্ডার সৌজন্যে। নবম উইকেটে কিউনা মাফাকার সাথে জুটি গড়েন রতিনি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হবার আগে করেন ২৪ বলে ৪৮ করেন লিন্ডে। মাফাকা করেন ১২ রান।
পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি ও আবরার আহমেদ।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান। শূন্য রানে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক। তবে তিনে নামা সাইম আইয়ুবকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৪০ রান যোগ করে দলকে এগিয়ে নেন রিজওয়ান। ১৫ বলে ৩১ রান করে বিদায় নেন সাইম।
চারে নেমে টিকতে পারেননি উসমান খান। আর তাইয়্যিব তাহির ফেরেন ১৮ বলে ১৮ রান করে। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেন রিজওয়ান। ১৭ ওভারে স্কোরবোর্ডে তুলেন ১৫১ রান। শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন হয় ৩৩ রান।
শেষ ওভারে সেই সমীলরণ কমে আসে ১৯ রানে। উইকেটে থালা রিজওয়াব তখন মাফাকার বলে আউট হয়ে ফেরেন ৬২ বলে ৭৪ রানে। তার বিদায়ে শেষ হয় পাকিস্তানের জয়ের স্বপ্ন। ১৭২ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। ২১ রানে ৪ উইকেট নেন লিন্ডে।