নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে বাংলাদেশের হাইকমিশন স্থাপন, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ভূষিত করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুশাসনের সূচক বিবেচনায় নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। মানব উন্নয়ন সূচকে দেশটির অবস্থান ১৬তম। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা সূচকে ৩২তম স্থান আছে দেশটি। নিউজিল্যান্ডের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেশি। তাই বাংলাদেশি পণ্যের জন্য নিউজিল্যান্ড হতে পারে একটি সম্ভাবনাময় বাজার।
নিউজিল্যান্ডে এখন প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন। প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন।
নিউজিল্যান্ড মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপরাষ্ট্র। তাই সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশ অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ডে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের যথাযথ সেবা নিশ্চিত করা সর্বদা সম্ভব হয় না। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিপুল অর্থ ব্যয়সহ নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন।
ফলে ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ হাইকমিশন স্থাপিত হলে নিউজিল্যান্ডে থাকা বাংলাদেশিরা সরাসরি দূতাবাসের সব প্রকার কনস্যুলার সেবা সহজে পাবেন। এছাড়া, নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের একটি মিশন স্থাপিত হলে তা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির পথ সুগম করবে বলে জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অন্যদিকে, জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম এতোদিন মানুষের মুখে মুখে ফিরলেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ছিল না। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে থেকে কাজী নজরুল ইসলামকে দেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেয়া হলেও এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি নেই। শুধু কবি কাজী নজরুল ইনস্টিটিউট আইনে জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম লেখা আছে।