রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে “বুদ্ধিমান এবং অভিজ্ঞ” রাজনীতিবিদ হিসাবে প্রশংসা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
পুতিন ট্রাম্পকে একজন “বুদ্ধিমান ও অভিজ্ঞ” রাজনীতিক উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি “সমাধান খুঁজে বের করার” ক্ষমতা রাখেন। এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মস্কো ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কাজাখস্তানে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বাইডেন ইউক্রেনকে মার্কিন দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য “অতিরিক্ত জটিলতা” তৈরি করেছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেন, মস্কো আবারো পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র “ওরেশনিক” ব্যবহার করতে পারে, যা ইতিমধ্যে ইউক্রেনের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি একাধিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এবং এটি পরমাণু অস্ত্র বহনের ক্ষমতাও রাখে।
পুতিন বলেন, “আমরা আমাদের হাতের কাছে থাকা সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করব। আমরা ইউক্রেনের সামরিক, শিল্প-প্রতিষ্ঠান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকব না।”
বাইডেনের সিদ্ধান্ত মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্কের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, “নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট একজন বুদ্ধিমান এবং যথেষ্ট অভিজ্ঞ ব্যক্তি। আমি মনে করি তিনি একটি সমাধান খুঁজে বের করবেন।”
ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় ইউক্রেন যুদ্ধ “২৪ ঘণ্টার মধ্যে শেষ করার” প্রতিশ্রুতি দিলেও তিনি কখনোই ব্যাখ্যা করেননি কিভাবে তা করবেন। এদিকে, তিনি বুধবার জেনারেল কিথ কেলোগকে যুদ্ধরত দেশগুলোর জন্য বিশেষ দূত হিসেবে মনোনীত করেছেন।
এ বিষয়ে ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “আমরা একসঙ্গে শান্তি নিশ্চিত করব এবং আমেরিকাসহ বিশ্বকে নিরাপদ করব।”