এবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে ইয়োভ গ্যালান্টের এই যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঘোষণা আসলো।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইয়ানেট নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী রোববার (২৪ নভেম্বর) হোয়াইট হাউস এবং মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন সফরে যাবেন গ্যালান্ট। হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর, ইসরায়েলের বাইরে গ্যালান্টের এটি প্রথম সফর।
গত বুধবার আইসিসির বিচারকরা এক রায়ে বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইয়োভ গ্যালান্ট জোরপূর্বক খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে গাজায় ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি হত্যা, নিপীড়ন এবং অন্যান্য অমানবিক কাজ করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন।
যদিও নেতানিয়াহু এই অভিযোগকে অস্বীকার করে বলেছেন, তারা গাজার মানুষকে খাদ্য পৌঁছে দিতে কোনো বাধা দিচ্ছেন না।
এর পাশাপাশি মার্কিন কর্মকর্তারা আইসিসির এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আদালতের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে যখন রোম সংবিধি স্বাক্ষরিত হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আইসিসি। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিটি আলোচনায় সহায়তা করেছিলো, তবে ওয়াশিংটন আইসিসির সদস্য নয় এখন।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রশাসনের অধীনে আইসিসি প্রতিষ্ঠাকারী চুক্তি রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেছিলো, কিন্তু কখনই চুক্তিটিকে অনুমোদন করেনি।