spot_img

ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের প্রাণহানিতে শীর্ষে মিয়ানমার

অবশ্যই পরুন

ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যায় গত বছর সিরিয়াকে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছে মিয়ানমার। বুধবার (২০ নভেম্বর) প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু ব্যান ল্যান্ডমাইনসের (আইসিবিএল) ‘ল্যান্ডমাইন মনিটর ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

তথ্যানুযায়ী ভূমিমাইন ও বিস্ফোরক ধারণকারী গোলাবারুদের আঘাতে ২০২৩ সালে মিয়ানমারে এক হাজার তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। একই সময়ে সিরিয়ায় হতাহত হয়েছে ৯৩৩ জন।

গবেষণা ফলাফলে সতর্ক করা হয়েছে যে, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট সংঘাতের ফলে মিয়ানমারে ব্যাপক ল্যান্ডমাইন ব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির রাজধানী নাইপিদো ছাড়া প্রতিটি রাজ্য এবং অঞ্চলে হতাহতের ঘটনার রেকর্ড নেয়া হয়েছে এ গবেষণায়।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির সামরিক বাহিনী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছে। এসব সংঘাতে প্রাণঘাতী ভূমি মাইন ও গোলাবারুদ ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০২১ সালে অং সান সু চিকে সরিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে ৩০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এরপর থেকেই সেখানে জান্তাবিরোধী সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণা করেছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির একটি দৃশ্যমান উপসর্গ এই মাইন বিস্ফোরণ। আইসিবিএল বলেছে, জান্তার সদস্যরা বেসামরিক মানুষকে ভূমি মাইন পুঁতে রাখা এলাকায় হাঁটতে বাধ্য করেছে, এমন প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।

এদিকে, ভূমিমাইন নিষিদ্ধ করা নিয়ে জাতিসংঘের একটি চুক্তি রয়েছে। এ চুক্তিতে ভূমি মাইনের ব্যবহার, মজুত ও তৈরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি মিয়ানমার।

সর্বশেষ সংবাদ

বিপদে মৃত্যু কামনা করা কি জায়েজ?

ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ