spot_img

আবু গারিবে নির্যাতন : মার্কিন ঠিকাদারকে ৪২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ

অবশ্যই পরুন

ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র-পরিচালিত আবু গারিব কারাগারে নির্যাতনের শিকার তিন ইরাকিকে ৪২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে এক মার্কিন প্রতিরক্ষা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক ফেডারেল জুরি এই আদেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবারের এই আদেশ ভার্জিনিয়াভিত্তিক ঠিকাদার সিএসিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে দায়ের করা ১৫ বছরের মামলার অবসান ঘটাল। এই ঠিকাদারের স্থাপনাতেই নির্যাতন চালানো হতো।

আদালত তার রায়ে সুহাইল আল শিমারি, সালাহ আল-ইজাইলি ও আসাদ আল-জুবাইয়ের প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ লাখ ডলার করে এবং শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ হিসেবে আরো এক কোটি ১০ লাখ ডলার করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক স্কুলের অধ্যক্ষ আল শিমারি, সাংবাদিক আল-ইজাইলি এবং ফলবিক্রেতা জুবাইর মামলায় বলেন, আবু গারিবে তাদেরকে প্রহার, যৌন নির্যাতন, বাধ্যতামূলকভাবে নগ্ন থাকা এবং অন্যান্য ধরনের নির্দয় নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

তারা নির্যাতনের জন্য সরাসরি সিএসিআইকে দায়ী করেননি। তবে জানান, নির্যাতনের সময় এই ঠিকাদার সামরিক পুলিশের প্রতি নমনীয় ছিল। ফলে প্রতিষ্ঠানটি দায় এড়াতে পারে না।

আদালত দুজন সাবেক মার্কিন সেনা জেনারেলের বক্তব্যও নেয়। তারা জানান, সিএসিআইয়ের কয়েকজন জিজ্ঞাসাবাদকারী নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন।
মামলায় বলা হয়, বেশিভাগ নির্যাতন ঘটে ২০০৩ সালের শেষ দিকে। ওই সময় সিএসিএ কর্মীরা ওই কারাগারে কাজ করতেন।

সুহাইল আল শিমারি বলেন, কারাগারে দু’মাস বন্দী থাকার সময় তাকে যৌন হামলা ও প্রহারের শিকার হতে হয়েছিল। তিনি আরো জানান, তাকে বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়েছিল, গলায় রশি বেঁধে কারাগারের চারপাশে ঘোরানো হয়েছিল। অন্যদের অবস্থাও ছিল একই রকম।

বিবাদিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সেন্টার ফর কনস্টিশিউনাল রাইটসের আইনজীবী বাহের আজমি। তিনি এ রায়কে ‘ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার’ জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি আরো বলেন, তার মক্কেলরা ঠিক ৪২ মিলিয়ন ডলারই ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন।

আদালতের রায়ের পর সালাহ আল-ইজাইলি বলেন, ‘আজ আমার জন্য বিরাট একটি দিন। ন্যায়বিচারের জন্যও। এই দিনটির জন্য অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করছিলাম।’ তিনি সাক্ষ্য দিতে ইরাক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান।

মামলাটি প্রথমে দায়ের করা হয়েছিল ২০০৮ সালে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএসিআই মামলাটি খারিজ করার নানামুখী চেষ্টার কারণে ১৫ বছর দেরি হয়।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত মার্কিন সরকার আবু গারিব কারাগারে নির্যাতনের শিকার কাউকে ক্ষতিপূরণ দেয়নি।

সূত্র : আল জাজিরা

সর্বশেষ সংবাদ

গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী অভিযুক্ত করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ