বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আকুর (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) দুই মাসের দায় পরিশোধের পর ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ ২৪ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য জানায়। আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে বাংলাদেশসহ ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার আমদানির অর্থ পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে এর সদর দপ্তর।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর দুই মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার আকুর দায় পরিশোধ করেছে। এর ফলে রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। গত ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের নিট রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলার, আর মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে: প্রথমটি মোট রিজার্ভ, যা বিভিন্ন তহবিলসহ গঠিত; দ্বিতীয়টি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ; এবং তৃতীয়টি ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ, যা বর্তমানে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
পূর্ববর্তী সরকারের সময়েও রিজার্ভ একাধিকবার ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল, কিন্তু বিদেশি ঋণ ও বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার ক্রয়ের মাধ্যমে তা পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার বিক্রি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার যোগ হতে থাকায় গত সপ্তাহে রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।
রিজার্ভের ওঠানামা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা বলেন, “রিজার্ভ একটি চলমান বিষয়, যা একবার কমে আবার বাড়ে। বর্তমানে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ইতিবাচক রয়েছে, তাই সাময়িকভাবে কমলেও আবার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে।”