সম্প্রতি খুনের হুমকি পান শাহরুখ খান। জানা গিয়েছে, ফায়জান খান নামে এক ব্যক্তির ফোন থেকে এই হুমকি আসে। ঘটনার পরে মুম্বাই পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে। এরপর ফায়জান খানকদে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুম্বাই ডেকে পাঠায় পুলিশ। সেখানে ফায়জান জানান, চলতি বছরই তিনি শাহরুখের নামে অভিযোগ দায়ের করেন ১৯৯৪ সালে ‘আনজাম’ ছবিতে অভিনেতার মুখে একটি সংলাপের কারণে।
গত ২ নভেম্বর জন্মদিন ছিল শাহরুখের। প্রতি বছর জন্মদিনের রাতে বাড়ি মান্নাতের ছাদে এসে অনুরাগীদের দেখা শাহরুখ। কিন্তু এ বার ব্যতিক্রম হয়েছে। প্রকাশ্যে আসেননি তিনি। বরং কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা ছিল তার বাড়ি। বাড়ির সামনে যাতে বেশি ভিড় না জমে, সে দিকেও নজর রেখেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
এ বার সালমান খানকে ধারাবাহিক ভাবে হত্যার হুমকি এবং বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সচেতন বাদশা। সম্প্রতি শাহরুখের কাছে যে হুমকি ফোন গিয়েছে, সেখানে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। সেই অর্থ দিলে নাকি ছাড় পাবেন বাদশা।
কিন্তু তদন্তের পর জানা যায়, পেশায় উকিল ফায়জানের গত ২ নভেম্বর ফোন খোয়া গিয়েছিল। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন ফায়জান। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফায়জান বলেন, ‘‘আমার ফোন চুরি হয়েছে ২ নভেম্বর। সেখান থেকে অন্য কেউ এই হুমকি পাঠিয়েছে। মুম্বাই পুলিশকেও সে কথা জানিয়েছি। যে দিন ফোন চুরি যায়, সেই দিনই স্থানীয় থাকায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম।’’
যদিও পুলিশি তদন্তে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়, আইনজীবীর ছিনতাই হওয়া ফোন থেকেই শাহরুখকে হুমকি পাঠানো হয়েছে। ১৯৯৪ সালে শাহরুখের ছবি ‘আনজাম’-এ হরিণ শিকার সংক্রান্ত কিছু সংলাপের বিষয়ে আপত্তি তুলেছিলেন ওই আইনজীবী। ফায়জানের দাবি, ‘‘আমি রাজস্থান থেকে এসেছি। বিশ্নোই সম্প্রদায় আমার বন্ধু। হরিণ রক্ষা করা তাদের ধর্ম। সুতরাং কোনও ব্যক্তি যদি হরিণ সম্পর্কে এ ধরনের কোনও মন্তব্য করেন তা নিন্দনীয়। তাই আমি আপত্তি তুলেছিলাম।’’ যদিও ফোন থেকে হুমকিবার্তা পাঠানোর বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার