spot_img

তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানকে চীনের সতর্কবার্তা

অবশ্যই পরুন

জাপানের বিরুদ্ধে সামরিক উত্তেজনার পরিস্থিতির অভিযোগ তুলেছে চীন। সম্প্রতি জাপানের সামরিক বিভাগের প্রধান জানান চীনের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিহত করতে তার দেশের অবশ্যই জিডিপির এক শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করতে হবে।

নিক্কেইকে দেয়া সাক্ষাতকারে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নবোও কিশি বলেন, বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি প্রতিহত করতে আমাদের দেশকে ‘পুরোপুরি ভিন্ন পদক্ষেপ’ গ্রহন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, জাপান ও চীনের মধ্যে সামরিক ভারসাম্য ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মারাত্মকভাবে কমে গিয়েছে এবং এই ব্যাবধান ক্রমে বাড়ছে।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জাপানের চারপাশে নিরাপত্তার পরিবেশ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, সেসঙ্গে অনিশ্চয়তাও বাড়ছে। এ অবস্থায় নিজেদের দেশকে সুরক্ষিত করতে আমাদেরকে প্রয়োজনীয় তহবিল জোগাড় করতে হবে।’ জাপানে রেইকোস নামে পরিচিত নেনসেই আইল্যান্ড এবং তাইওয়ানের নিকটবর্তী সর্বদক্ষিণে জাপানের মূলভূখন্ড নিয়ে তারা সবচেয়ে উদ্বেগে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এর প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, চীনের বিরুদ্ধে জাপানকে ‘মিথ্যা তথ্য ও অপমানজনক বক্তব্য দেয়া বন্ধ করতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘জাপানের কান্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য সামরিক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে, আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াবে, সামরিক দ্ধন্দ্ব উসকে দিবে এবং তাইওয়ান ইস্যুকে আরো বিশৃঙ্খলায় ফেলে দিবে।’
তাইওয়ান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ নিয়েও তিনি সতর্ক করে দেন।

উল্লেখ্য, স্বায়ত্ত্বশাসিত এ দ্বীপরাষ্ট্রটিকে পুনরায় নিজেদের অধীনে নিতে চাইছে চীন, প্রয়োজনে জোর প্রয়োগ করারও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঝাও বলেন, ‘ জাপানের সবসময়ই একটি ছোট দল রয়েছে যারা সামরিকরনের পুরনো স্বপ্ন দেখে এবং তারা তাইওয়ান ইস্যুতে নাক গলাচ্ছে। আমরা জাপানের এই অংশকে বলতে চাই অঞ্চলিটির নিরাপত্তা রক্ষা ও আঞ্চলিক সমন্বয় নিয়ে আমাদের ইচ্ছা অটল থাকবে এবং জাপান এতে ফাটল সৃষ্টি করতে পারবে না।’

সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

সর্বশেষ সংবাদ

এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক হবেন: ড. ইউনূস

বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, যেখানে সত্যিকার অর্থে জনগণই হবে সকল ক্ষমতার মালিক— এ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড....

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ