spot_img

ইসরায়েল শর্ত ভাঙলেই কঠিন জবাব: হামাস

অবশ্যই পরুন

 ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলে অথবা পবিত্র জেরুজালেম শহরে ফিলিস্তিনিদের ওপর নতুন করে কোনো হামলার চেষ্টা করলে তার যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

রবিবার (২৩ মে) সংগঠনটির অন্যতম মুখপাত্র আবদুল লতিফ কানু স্থানীয় এক রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলকে কঠিন জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

তিনি বলেছিলেন, জেরুজালেম শহরের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র হলে, পবিত্র আল-আকসা মসজিদ ভাগ করার চেষ্টা হলে কিংবা এই মসজিদের পরিচয় মুছে ফেলা এবং সেটিকে ইহুদিকরণের চেষ্টা হলে আমরা তার জবাব দিতে প্রস্তুত।

এ দিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে টানা ১১ দিন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে গাজা উপত্যকায় বিশাল সামরিক মহড়া চালিয়েছে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাসেম ব্রিগেডস।

ইরানের আরবি স্যাটেলাইট নিউজ চ্যানেল আল-আলম জানিয়েছে, কাসেম ব্রিগেডসের শত শত যোদ্ধা অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত শনিবার গাজার রাজপথে প্রকাশ্যে মহড়া দিয়েছেন। মহড়ায় সাম্প্রতিক লড়াইয়ে নিহত হামাসের অন্যতম কমান্ডার বাসিম ঈসার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

হামাসের অন্যতম নেতা ইসমাইল রেদওয়ান মহড়ার ফাঁকে রাখা বক্তব্যে বলেন, আমরা আজ গাজার মাটিতে বসে দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে বিজয়োৎসব করছি। সাম্প্রতিক যুদ্ধ প্রমাণ করেছে, বায়তুল মুকাদ্দাস আরব ও ইসলামি পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকবে এবং এটি হবে ফিলিস্তিনের চিরকালীন রাজধানী।

এ সময় ইসরায়েলকে মোকাবিলায় কাসেম ব্রিগেডস সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে বলেও জানান এ নেতা।

পবিত্র রমজান মাসের শেষের দিকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় এবং জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়।

সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে ইসরায়েলকে চূড়ান্ত সময়সীমা সময় বেঁধে দেয় হামাস এবং পরবর্তীতে দখলদারদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

গত ১০ মে গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। টানা ১১ দিনের এ আগ্রাসনে ৬৬ শিশুসহ ২৪৮ জন নিহত হন। আহত হন আরও প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি।

বিপরীতে ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে চার হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো। এতে বিদেশিসহ অন্তত ১২ জন নিহত হন। শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের মধ্যে গত ২১ মে মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি মেনে নেয় দখলদার বাহিনী।

রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হলেও পশ্চিমা মদদপুষ্ট দখলদার বাহিনীকে সমঝোতায় বাধ্য করা যুদ্ধজয়ের সমান বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।

সূত্র : পার্সটুডে, আল-জাজিরা

সর্বশেষ সংবাদ

সৈন্যের বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে রাশিয়া!

ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর সমর্থনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে বলে সিউলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা দাবি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ