উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে আসন্ন ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় জেলায় ৫৫৭ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৫টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৩২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, হতাহতের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় রাখার লক্ষ্যে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে প্রতিটি ইউনিয়নে তাৎক্ষণিক আর্থিক সাহায্য দেয়ার জন্য আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া গোখাদ্য ও শিশু খাদ্যের জন্য সরকারি বরাদ্দ রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় সতর্কবার্তা জারী করার কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠনেরও প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে গতরাতে জেলা দুূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এদিকে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় আধুনিক সুবিধা সম্বলিত তিনটি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, হোগলপাতি নেছারিয়া সিনিয়র মাদরাসা বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র এবং উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নে খায়েরঘটিচোরা হামিদিয়া দাখিল মাদরাসা বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, এ জেলায় আইভি এবং ওয়ারেচ স্যালাইন যথেষ্ট পরিমাণ মজুদ রয়েছে। সভায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্নজন বলেন যেহেতু ঘুর্ণিঝড়টি পূর্নিমার জো এর দিন উপকূল অতিক্রম করবে তাই জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করতে হবে।