spot_img

মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা

অবশ্যই পরুন

নগরবাসীকে বারবার সচেতন ও সতর্ক করার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে বাসা-বাড়ি এবং এর আশপাশে পানি জমিয়ে রেখে এডিস মশার প্রজননে ভূমিকা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার (২২ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আয়োজনে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু/চিকনগুনিয়া সচেতনতা অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশা নিধন করা কঠিন। তাই মাঠে-ময়দানে প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। একজন মানুষের গাফিলতির কারণে পুরো সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। আর এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে দুই সিটি করপোরেশন থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দুই সিটি করপোরেশনকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ১০ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে দেয়া হয়েছে। তাদের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।’

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘মশার এই উপদ্রব থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে পারে জনসচেতনতা। এরই অংশ হিসেবে আমরা আজকের এই প্রচারণা চালাচ্ছি। এডিস মশা কমাতে হলে জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব না। সকল মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করলে এই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে না।’ এডিস মশার প্রজনন বন্ধে সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টি হলে ছাদে পানি জমে, ফুলের টবে পানি জমে, টায়ার ও টিউবে পানি জমে। এসব পরিষ্কার পানি ছাড়াও নির্মাণাধীন বাসা-বাড়ি, বেজমেন্ট ও পরিত্যক্ত জায়গায় জমানো পানিতে এ মশা জন্ম নেয়। তাই বাড়ির আঙিনাসহ আশেপাশে আসবাবপত্রের মধ্যে যাতে পানি জমে না থাকে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। এটা যত দ্রুত পরিষ্কার করতে পারবো তত তাড়াতাড়ি এডিস মশার প্রজনন ধ্বংস হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে আইইডিসিআর পরবর্তী বছরে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যার তিনগুণ হওয়ার পূর্বাভাস দিলেও মন্ত্রণালয়, দুই সিটি করপোরেশন এবং সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে সেই পূর্বাভাস মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সাব জোনে ভাগ এবং কার্যকর ওষুধ নিয়মিত স্প্রে করার কারণে মশার উপদ্রব যথেষ্ট কমেছে। এক বছরের প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি তাতেই আমরা সফলতা পেয়েছি।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এডিস মশাসহ সব ধরনের মশা নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ এবং বেশ কয়েকটি বাসা-বাড়ি পরিদর্শন করে এডিস মশার প্রজননস্থল থাকায় স্টিকার লাগিয়ে দেন এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং নাট্য অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

মুজিববর্ষের নামে ভাস্কর্য-ম্যুরালে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট: শফিকুল আলম

মুজিববর্ষের নামে কত টাকা অপচয় করা হয়েছে তা বর্তমান সরকার খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ