০২০ সালে রেকর্ড ২১.৭৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা, ফলে প্রবাসী আয়ে এই সময় বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের মধ্যে অষ্টম স্থান অর্জন করে। তার আগের বছর ২০১৯ সালের চাইতেও এই আয় প্রবাহ ছিল ১৮.৪ শতাংশ বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ভিত্তিক দাতাগোষ্ঠী বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ‘মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ’ সূত্রে এসব কথা জানা গেছে।
গেল বছরের রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল মোট দেশজ পণ্যের ৬.৬ শতাংশ। আয় প্রবাহ বাড়ায় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের পর প্রবাসী আয়ে তৃতীয় শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখে বাংলাদেশ।
২০১৯ সালে বাংলাদেশমুখী রেমিট্যান্স প্রবাহের পরিমাণ ছিল ১৮.৩৬ বিলিয়ন ডলার, সেবছর প্রবাসী আয়ে বিশ্বে নবম স্থানে ছিল বাংলাদেশ।
২০১৯ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমলেও, ২০২০ সালে প্রতিবেশী ভারতে ৮৩.১৫ ডলারের বৈদেশিক আয় আসে, এতে দেশটি দক্ষিণ এশিয়াসহ পুরো বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেমিট্যান্স প্রাপ্ত দেশের অবস্থান ধরে রাখে।
তারপরেই দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল চীন। গেল বছর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির প্রবাসী নাগরিকেরা ৫৯.৫১ বিলিয়ন ডলারের আয় পাঠান। এরপর, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে ছিল মেক্সিকো, ফিলিপাইন ও মিশর। দেশগুলি যথাক্রমে; ৪২.৮৮, ৩৪.৯১ এবং ২৯.৬০ বিলিয়ন ডলার পায়।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ‘অসাধারণ’ সহনশীলতা প্রদর্শন করে, এমনকি বিশ্বব্যাংক যতটা কমার শঙ্কা করেছিল, প্রকৃতপক্ষে কমেছে তার চেয়েও ক্ষুদ্র পরিসরে।
মাইগ্রেশন অ্যান্ড রেমিট্যান্সেস প্রতিবেদনের মুখ্য লেখক এবং বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল নলেজ পার্টনারশিপ অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট- শাখার প্রধান দিলীপ রাঠা বলেন, “মহামারি কালে আয় সঙ্কটে পড়েছে অগণিত পরিবার, তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বিদেশ থেকে পাঠানো স্বজনদের আয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।”