২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই সামনে রেখে গত ১১ মে ক্যাম্প শুরু করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। এরপর ঈদের ছুটির কারণে কয়েক দিনের বিরতি ছিল। তবে সোমবার থেকে আবারও চেনা পরিবেশে ফিরেছে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। তাই শুরুতেই হেড কোচ জেমি ডে দেখে নিলেন ফুটবলারদের ফিটনেস কোন পর্যায়ে আছে। ইয়োইয়ো টেস্টের প্রাথমিক ফলে সন্তুষ্ট তিনি। তবে মাঠের লড়াই শুরুর আগে ফিটনেস আরও ভালো করার তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় দলের কোচ।
ঈদের ছুটির বিরতিতে খেলোয়াড়দের ফিটনেসে কোনো ঘাটতি তৈরি হয়েছে কিনা, ইয়োইয়ো টেস্টের মাধ্যমে পরখ করে নিতে চেয়েছেন জেমি। কোচ জানালেন, সেখানে উতরে গেছেন সবাই, ‘ওরা ভালো অ্যাথলেট। নিজেদের খেয়াল রাখে। খাবারের ব্যাপারেও বেশ সচেতন। হ্যাঁ, একটি বিরতির পর নিজেদের ফিরে পেতে কয়েকটি সেশন প্রয়োজন হয়। ছেলেদের যে পর্যায়ে পাওয়া দরকার ছিল, সেই পর্যায়ে পেয়েছি। আমাদের হাতে তিন সপ্তাহ সময় আছে, এর মধ্যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে খেলার আগে ফিটনেসের দিক থেকে ওরা সেরা অবস্থায় আছে।’
ডে আরও বলেন, ‘ছেলেরা কি অবস্থায় আছে জানতে আজ সকালে ইয়োইয়ো টেস্ট করানো হয়েছে। কয়েক দিনের বিরতি ছিল, আগের অবস্থায় ফিরতে একটু সময় লাগবে। আগামী পাঁচ দিন এটা নিয়েই কাজ করব। এরপর স্কোয়াড ২৫ জনে নামিয়ে আনা হবে। প্রথম ম্যাচের আগে কাজ করার জন্য তারপরও ১২ দিনের মতো সময় থাকবে।’
বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ চোটের কারণে ক্যাম্পে যোগ দেননি সোমবার। তবে নতুন খেলোয়াড় ডাকার পরিকল্পনা নেই জেমির, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য জাতীয় দলে নির্বাচিত হতে হলে অবশ্যই খেলোয়াড়দের ফিটনেস একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে থাকা প্রয়োজন। আমি মনে করি, ছেলেরা সেই পর্যায়ে আছে। যদি কেউ না থাকে, তাহলে আমরা পরের সপ্তাহে আবার ইয়োইয়ো টেস্ট করাব। তবে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে, সবাই ভালো অবস্থায় আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন কোনো খেলোয়াড় ডাকার ভাবনা নেই। চোটের জন্য বিশ্বনাথ ঘোষ ক্যাম্পে নেই। তার চোটের জন্য কাভার হিসেবে কাউকে ডাকা হয়নি। চূড়ান্ত একটা সিদ্ধান্তের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। তবে কাতারে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট খেলোয়াড় আমাদের ক্যাম্পে আছে।’
আগামী ৩ জুন আফগানিস্তান, ৭ জুন ভারত এবং ১৫ জুন ওমানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।