পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড নামে এক সংস্থার দাবি, গবেষণায় দেখা গিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার একটি মাত্র ডোজেই করোনায় মৃত্যুর হার প্রায় ৮০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। গত সোমবার এমনই দাবি করেছে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড নামের ওই সংস্থাটি।
শুধু তাই নয়, এই সংস্থা আরো দাবি করেছে, ফাইজারের টিকার দ্বিতীয় ডোজে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় ৯৭ শতাংশ কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইজারের এক ডোজেও মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশ কমে যায়, আর দ্বিতীয় ডোজের পর তা ৯৭ শতাংশে পৌঁছে যায়। অর্থাৎ দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের তরফে দাবি করা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়ার পর মৃত্যুর হার সংক্রান্ত এ তথ্য একদম বাস্তবের জমি থেকে তুলে আনা হয়েছে। অর্থাৎ টিকা নেওয়া এবং না নেওয়া সাধারণ মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে ইল্যান্ডে লকডাউনের কড়াকড়ি অনেকটা শিথিল করা হয়েছে। সোমবারই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। তার পরই এই সিদ্ধান্তের কথা জাননো হয়েছে।
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, ফাইজারের টিকার দু’টি ডোজের পর ৮০ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তাঁদের হাসপাতালে ভরতি হওয়ার আশঙ্কাও প্রায় ৯৩ শতাংশ কমে যায়।
ইংল্যান্ডে বেশির ভাগ মানুষকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হচ্ছে। সেই টিকার ফলাফল যখন আশাপ্রদ, তখন আশার আলো দেখা যাচ্ছে ভারতেও। কারণ অ্যাস্ট্রাজেনেকার এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এই টিকার আবিষ্কার করেছে। সেই ফর্মুলা থেকেই ভারতে টিকা তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। ফলে ভারতেও এই টিকার প্রয়োগের ফলে মৃত্যুর হার অনেকটা কমিয়ে দেওয়া যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : টিওআই।