মুসলিম বিশ্বের দোরগোড়ায় এবার ব্যতিক্রমী এক ঈদ। বৈশ্বিক মহামারি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে অনেকটাই বিবর্ণ বিশ্বের প্রায় ২শ’ কোটি মুসলিমের প্রধান উৎসব আয়োজন। মুসলিমদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব ঘিরে চিরচেনা আমেজ না থাকলেও বিভিন্ন দেশে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
অন্যান্য বার ঈদের আগমুহূর্তের কেনাকাটা আর ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট থাকলেও এবার একেবারেই ভিন্ন পরিস্থিতি লাহোরের বাজারগুলোর। করোনার কারণে বন্ধ সব দোকান। হাতে গোনা যা দুই একটি খোলা তাতেও নেই ক্রেতা সমাগম। ফলে এবারের ঈদ যে আলাদা হতে যাচ্ছে লাহোরের মতো শহরের জন্য, তা বলাই যায়।
অন্যদিকে করোনায় কঠিন সময় পার করছে ভারত। করোনা সংকটের এই সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে কড়াকড়ি আর লকডাউনে বন্ধ দোকান-শপিং মল। রোজার সময়ে অনেক স্থানেই তারাবির নামাজ হয়েছে অল্প পরিসরে। এ অবস্থায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হলেও তাতে ঠিক কী ধরনের নির্দেশনা থাকবে তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে তা সত্ত্বেও ভারতের এই অন্যতম বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মুখপাত্ররা বলছেন, এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই। বরং বিধিনিষেধের এই কড়াকড়িকে তারা দেখছেন ভালোভাবেই।
ভারতের ইমাম হাফেজ মোহাম্মদ জাকির বলছেন, কড়াকড়ির এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা চাই চারমিনারের মতো স্থানগুলোতে পুলিশি নজরদারী আরও বাড়ানো হোক। কারণ এখানেই জনসমাগম বেশি হয়।
মালয়েশিয়ায় নতুন করে ঘোষণা করা হয়েছে লকডাউন। ফলে অনেককেই আত্মীয় স্বজন ছাড়া একাকি ঈদ কাটাতে হবে। শহর ছেড়ে যেন সাধারণ মানুষ বাইরে যেতে না পারে তাই চলছে তল্লাশি। ফলে এবার মালয়েশিয়ার ঈদ হতে যাচ্ছে অন্যান্য সময়ের থেকে আলাদা।
প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের সবচেয়ে বড় স্রোত দেখা যায় ইন্দোনেশিয়ায়। তবে এবারের চিত্র ব্যতিক্রম। গণপরিবহন চলাচলে আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ফলে নিজ অবস্থান ছেড়ে বের হতে পারবে না কেউই। যদিও সীমিত পরিসরে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে ঈদ জামাতের।