রমজানের দিনগুলোয় ছিল তীব্র গরম। দিনও ছিল দীর্ঘ। তার মধ্যেই রোজা রেখেছেন মুসল্লিরা। দীর্ঘসময়ের ত্যাগ-সংযম শেষে আগামী বৃহস্পতি (১৩ মে) বা শুক্রবার (১৪ মে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এখন যেমন ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে, ঈদের দিন তার চেয়ে একটু বেশি ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রাও থাকতে পারে স্বাভাবিক।
জানা গেছে, রোববার (৯ মে) দেশের ২৯টি অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের চার ভাগের প্রায় তিন ভাগ। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে ৪৪ মিলিমিটার। আর ঢাকায় হয়েছে ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি।
এদিকে দেশের তাপমাত্রা রয়েছে স্বাভাবিক। গতকাল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা ছিল মাত্র ৪টি অঞ্চলে। তার মধ্যে সীতাকুণ্ডে ছিল ৩৬ দশমিক ৫, ফেনীতে ৩৬ দশমিক ১ ও কুতুবদিয়ায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাঙ্গামাটি ও যশোরে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এর বাইরে দেশের সব অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল সহনীয়।
ঈদের দিনের আবহাওয়ার বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, আগামী বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার দেশে ঈদুল ফিতর হতে পারে। দেশে এখন যা বৃষ্টিপাত আছে, ওই সময় আরো একটু বাড়তে পারে। ১৫ মে’র পর থেকে দেশে বৃষ্টিপাত কমতে পারে।
তিনি আরো বলেন, দেশে বিছিন্নভাবে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা একটু বাড়তি আছে। এটাকে তাপদাহ বলছি না, মানে স্বাভাবিক তাপমাত্রা বিরাজ করছে। ঈদের দিনও এ রকমই থাকতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস আজ সকাল ৯টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আগামী তিন দিনে এই বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।