সম্প্রতি সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও কিছু দেশের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে। সোমবার রাত ১টা থেকে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়েছে।
সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। সৌদিতে ভ্রমণের আগে অবশ্যই দেশটির অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩৮টি দেশের ওপর ভ্রমণ নির্দেশিকা এবং দেশটিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শর্তাবলী সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি আরব।
ভ্রমণকারীদের অবশ্যই ডিসিআর মেডিকেল পরীক্ষার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। যেসব দেশের ওপর নতুন ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি হয়েছে সেগুলো হলো-যুক্তরাষ্ট্র, আরব আমিরাত, মিসর, কুয়েত, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, মরক্কো, স্পেন, ইরাক, ইথিওপিয়া, মালদ্বীপ, চীন, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, গ্রিস, জর্ডান, কেনিয়া, তুরস্ক, জার্মানি, বাহরাইন, লেবানন, নেদারল্যান্ডস, কাতার, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, সুদান, নাইজেরিয়া, তিউনিসিয়া, ওমান এবং মারিতিয়াস।
তিন ধরনের নাগরিকরা সৌদিতে ভ্রমণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি জারি করে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে।
প্রথমত- যেসব দেশের নাগরিকরা ইতোমধ্যেই ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই গ্রহণ করেছেন অথবা যাদের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণের পর ১৪ দিন পার হয়েছে তারা সৌদিতে ভ্রমণ করতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত- ইতোমধ্যেই যারা করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন বা যাদের সুস্থ হয়ে ওঠার পর এখনও ৬ মাস পার হয়নি তারা সৌদিতে ভ্রমণ করতে পারবেন। তৃতীয়ত- যাদের বয়স ১৮ বছরের কম তারাও সৌদি সফরের অনুমতি পাবেন।
তবে সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর প্রত্যেককেই এক সপ্তাহের জন্য সেলফ আইসোলেশনে থাকতে হবে। একই সঙ্গে কোয়ারেন্টাইনের সময় পার হওয়ার পর পিসিআর টেস্টের ফলাফলও দেখাতে হবে। তবে আট বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে পিসিআর টেস্টের প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছে।