পাকিস্তানের ব্লাসফেমি বা ধর্মদ্রোহীতা আইন নিয়ে ইউরোপীয় সংসদের সাম্প্রতিক রেজোলিউশন প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার পাকিস্তান সরকার জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই আইন নিয়ে কোন আপোস করবে না। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে চুক্তি অনুসারে মানবাধিকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে নতুন আইন প্রবর্তন করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে প্রচলিত ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা আইনের তীব্র সমালোচনা করে এ আইন দ্রুত রদ করার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পার্লামেন্ট। তারা পাকিস্তানের পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’ বলে দাবি করে তারা দেশটির ‘জেনারালাইজড স্কিম অফ প্রেফারেন্স প্লাস’ (জিএসপি প্লাস) সুবিধার পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছিল। এই প্রেক্ষিতে ইইউ পার্লামেন্টের প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করার জন্য সোমবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে। সূত্রমতে, বৈঠকে আহমাদী সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা করার সাথে সাথে ব্লাসফেমি আইনের সাথে আপস না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকে বলা হয়েছিল যে, ইইউর সাথে পাকিস্তানের চুক্তিতে ধর্ম সম্পর্কিত কোনও শর্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
পাকিস্তান ইইউর সাথে মানবাধিকার, মানবাধিকার প্রয়োগ, নিখোঁজ হওয়া, নারী অধিকার এবং সংখ্যালঘু অধিকারসহ বিভিন্ন মানবাধিকার ইস্যুতে মোট আটটি চুক্তি করেছে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা একমত হয়েছিলেন যে, আইনসভা কমিটির অনুমোদনের পরে সরকারের এখন এই চুক্তিগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নতুন আইন প্রবর্তন করা উচিত। বৈঠকে আরও বলা হয়েছিল যে, ইইউ তার জিএসপি প্লাস সুবিধা বাতিল করে দিলে পাকিস্তানের বছরে ৩০০ কোটি ডলার ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে ইউরোপের দেশগুলির সাথে আলোচনা করা উচিত বলে সবাই একমত হয়েছিলেন।
সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।