ভারতে যখন করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল, তখনো মাঠে গড়াচ্ছিল আইপিএল। এমনকি বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি তো স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমে বলেই বসেছিলেন, ‘আইপিএল না থাকলে মানুষজন পাগলই হয়ে যেত’। শেষমেশ সে আইপিএল স্থগিত হয়েছে তিন দলে করোনার উপস্থিতি পেয়ে। তবু চলতি আসরের আইপিএল শেষ করার আশা ছাড়ছেন না বিসিসিআই সভাপতি।
আইপিএলের ওপর করোনার থাবা নেমে আসে গত ৩ এপ্রিল। কলকাতা শিবিরে ধরা পরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও চেন্নাই সুপার কিংস দলেও দেখা দেয় করোনার প্রাদুর্ভাব। ফলে জৈব সুরক্ষা বলয় যায় ভেঙে, আর স্থগিতাদেশ নেমে আসে আইপিএলের ওপর।
এ বিষয়ে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ জানান, আইপিএলের সঙ্গে জড়িত একাধিক ক্রিকেটার, ম্যাচ অফিশিয়াল, মাঠকর্মী, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট চ্যানেলের লোকজনের জীবন বাজি রেখে আমরা আইপিএল আয়োজন করতে রাজি নয় বিসিসিআই। তাই করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতেই স্থগিত করে দেয়া হয়েছে আইপিএল। তবে এ সিদ্ধান্ত এসেছে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরেই।
তবে স্থগিত হয়ে গেলেও আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজনে বদ্ধপরিকর বিসিসিআই। অন্তত সভাপতি সৌরভ এখনো আশা ছাড়ছেন না। তবে এ আশাবাদের মাঝে তিনি জুড়ে দিলেন একটা শর্তও। সেক্ষেত্রে ভারতের করোনা পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসতে হবে আগে।
বিসিসিআই সভাপতির কথা, ‘আমরা সবাই মিলে এই প্রতিযোগিতা শেষ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একাধিক ক্রিকেটার আক্রান্ত হয়ে গেল, যে কারণে আইপিএলটা বন্ধ করে দিতে হলো। এটা খুবই সংক্রামক একটা ব্যাধি তো, তাই আমরা আর ঝুঁকি নিতে চাইনি। তবে আমাদের হাতে সময় ফুরিয়ে যায়নি। এখনো সময় আছে। পরিবেশ-পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক হয়ে আসে। তাহলে বছরের কোনো না কোনো সময় আমরা বাকি ৩০টা ম্যাচ আয়োজন করতে চেষ্টা করব।’