পাকিস্তানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে উটের লাইব্রেরি। বেলুচিস্তানে মরু অঞ্চলে উটের মাধ্যমে শিশুদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন বই।
ভ্রাম্যমাণ এই লাইব্রেরির প্রধান বলছেন, করোনা মহামারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুরা যেন বিষন্নতায় না ভোগে তাই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রহিমা জালাল নামে এক শিক্ষিকা ব্যক্তি উদ্যোগে গেলো আগস্টে শুরু করেন উটের এই লাইব্রেরি। যা এরই মধ্যে পেয়েছে জনপ্রিয়তা।
রহিমা জালাল বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। বাড়িতে থাকতে থাকতে বিষন্নতায় ভুগছে ছোট-বড় সবাই। তাই শিক্ষার্থীরা যেন খারাপ বা অন্য কোনো কাজে সময় অপচয় না করে সেই চিন্তা থেকেই এই উদ্যোগ নেয়া। ভ্রাম্যমাণ এই লাইব্রেরির কারণে শিশুরা বই পড়া নিয়েই ব্যস্ত থাকছে এখন।
এই লাইব্রেরি বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চালু থাকে। এই সময়ে পছন্দের বই নিয়ে পড়তে পারবে যে কেউ। চাইলে একদিন রেখেও পড়ার সুযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৪টি গ্রামে এই কার্যক্রম চললেও পরিধি বাড়ানোর কথা জানান উদ্যোক্তা।
রহিমা জালাল আরও বলেন, যদি অনুদান পাই তাহলে বইয়ের সংখ্যা আরও বাড়ানো সম্ভব হবে। প্রথম পর্যায়ে ৪টি গ্রামে এই কার্যক্রম চললেও পর্যায়ক্রমে ৪০টি গ্রামে এই সেবার পরিধি বাড়াতে চাই। ছড়িয়ে দিতে চাই সব অঞ্চলেই।
তথ্য বলছে, মরুময় বেলুচিস্তানে বসবাস এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষের। সেখানে শিক্ষার হার মাত্র ৪০ শতাংশ। যা গোটা পাকিস্তানের মধ্যে সর্বনিম্ন।