পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে দিন-রাত প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করেছেন টলিউড অভিনয়শিল্পী, সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তৃতীয়বারের মতো তৃণমূলের বিজয় আন্দোলিত করেছে তাকে। পরিশ্রম শেষে জয়ের স্বাদ পাওয়ার আনন্দ, উচ্ছ্বাস লেগে আছে তার গলায়।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে মিমি চক্রবর্তী বলেন—‘বাংলা আজ যা করে, ভারত আগামীকাল তা ভাবে।’ এই প্রবাদই আবার সত্যি করে দিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রী, ক্রিকেটার, আমলা, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা দেশের অন্য দায়িত্ব ভুলে, বাংলায় পড়ে থেকেছেন দিনের পর দিন। একজন নারী মুখ্যমন্ত্রীকে হারাতে! দিদি এবার অতিমারি রুখতে নিজে মাঠে নামবেন। বাংলা ফের করোনামুক্ত হবে।
এই নির্বাচনে বহু জায়গায় সভা, সমাবেশ করেছেন মিমি। সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে মিমি বলেন, যখন যে জায়গায় পা রেখেছি, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস দেখতে পেয়েছি। জলপাইগুড়িতে কোনো দিন তৃণমূল জিততে পারেনি। এবার সেটাও হয়েছে। মানুষের আলাদা আবেগ কাজ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। আমি দলকে খুব ভালোবাসি। আমার আলাদা কী স্বার্থ? আমি, দেব, নুসরাত প্রার্থী না হয়েও যেভাবে এই বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রচার করেছি, তার পেছনে স্বার্থ ছিল না।
এবারের নির্বাচনে তারকাদের দলবদল এবং নতুন করে রাজনীতিতে যোগদানের হিড়িক ছিল দেখার মতো। মিমির বহু সহ-অভিনেতা, বন্ধুর মধ্যেও এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে। এ বিষয়ে মিমি বলেন, খেলায় হার-জিত আছে। তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। সেই সময়ে আমার অভিনেতা বন্ধুদের মনে হয়েছিল, দল বদলের প্রয়োজন আছে। কিংবা রাজনীতিতে যোগদানের উপযুক্ত সময় এটাই। তাই তারা যোগ দিয়েছিলেন। প্রত্যেকের নিজস্ব চিন্তাভাবনা রয়েছে। সেখানে হস্তক্ষেপ করতে চাই না।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২১৩টি, ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপি পেয়েছে ৭৭টি।