spot_img

রিয়ালের মাঠে চেলসির স্বস্তির ড্র

অবশ্যই পরুন

রিয়াল মাদ্রিদ এর আগে তিন বারের দেখায় কখনও চেলসিকে হারাতে পারেনি, এবারও পারলো না। তবে পিছিয়ে পড়েও হার এড়িয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা। এতে অ্যাওয়ে গোলের কারণে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে তাদের স্বাগত জানাবে ব্লুরা।

আলফ্রেদো দে স্তেফানো স্টেডিয়ামে ১০ মিনিটেই গোলমুখ খুলতে পারতো চেলসি। ডানপ্রান্ত থেকে ম্যাসন মাউন্টের শট রিয়াল খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে কাছের পোস্টে থাকা ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ হেড করে বল গোলমুখের সামনে দেন। টিমো বার্নার লক্ষ্যে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া বাধা হয়ে দাঁড়ান।

দারুণ দলগত পারফরম্যান্সের পুরস্কার চেলসি পায় ১৪ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে আন্তোনিও রুদিগারের ভাসানো বল বক্সের ভেতরে নিয়ন্ত্রণে নেন পুলিসিচ। এরপর কোর্তোয়াকে বোকা বানিয়ে ডান পায়ে লক্ষ্যে শট নেন। দুই রিয়াল খেলোয়াড়ের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ায়। চেলসিকে এগিয়ে দিয়ে একাধিক রেকর্ড গড়েন পুলিসিচ। প্রথম আমেরিকান খেলোয়াড় হিসেবে যে কোনও প্রতিযোগিতায় রিয়ালের বিপক্ষে গোল করেন। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালেও এটা কোনও আমেরিকানের প্রথম গোল।

এছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ গোল করা আমেরিকানও পুলিসিচ। পঞ্চম গোলে তিনি পেছনে ফেলেন ড্যামার্কাস বিসলিকে। প্রথম গোল খাওয়ার পর রিয়াল ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল। ২৩ মিনিটে করিম বেনজেমার বাঁ পায়ের শট সরাসরি গোলপোস্টে আঘাত করে মাঠের বাইরে যায়। অবশ্য কিছুক্ষণ পরই সমতা ফেরান ফরাসি ফরোয়ার্ড। বাঁ প্রান্ত থেকে মার্সেলোর ক্রসে এডার মিলিতাওয়ের হেড থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে ৭১তম গোল করে চতুর্থ শীর্ষ গোলদাতা রাউলের পাশে বসেন বেনজেমা। এখন তার উপরে কেবল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি ও রবার্ট লেভানদোভস্কি।

২৯ মিনিটে স্কোর ১-১ হওয়ার পর টনি ক্রুসের দূরপাল্লার শট গোলপোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়। ৪১ মিনিটে বার্নারের শটও একইভাবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে এই জার্মানের লক্ষ্যে নেওয়া শট ব্লক করেন মিলিতাও।

ম্যাচ শেষ হওয়ার আধঘণ্টা আগে চেলসি আক্রমণভাগে একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন আনে। সিজার আজপিলিকুয়েতা, বার্নার ও পুলিসিচকে ৬৬ মিনিটে তুলে নিয়ে থমাস টুখেল নামান সিরিচ জেমস, কাই হাভার্জ ও হাকিম জিয়েখকে। একই সময়ে রিয়ালের আক্রমণে ভিনিসিউস জুনিয়রের বদলি নামেন ইডেন হ্যাজার্ড। ৭৭ মিনিটে দানি কারভাহাল ও মার্সেলোকে উঠিয়ে নেন রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান। তাদের বদলি নেমে আলভারো ওদ্রিওজোলা ও মার্কো আসেনসিও ম্যাচে পার্থক্য গড়তে পারেননি।

বরং ৭৯ মিনিটে শেষ সুযোগ তৈরি করেছিল চেলসি। কিন্তু জিয়েখের বাঁকানো ফ্রি কিক সহজে রুখে দেন কোর্তোয়া। শেষ অর্ধের বাকি সময় কোনও দল আর লক্ষ্যে বল রাখতে পারেনি। তাতে চার ম্যাচ খেলে চেলসির বিপক্ষে দ্বিতীয় ড্র করলো রিয়াল, অন্য দুটি ম্যাচে হার দেখেছিল তারা।

সর্বশেষ সংবাদ

মানসিক সমস্যায় ভুগছেন এমবাপ্পে!

ছোট থেকে স্বপ্ন দেখতেন, একদিন রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে খেলবেন। স্বপ্ন এখন বাস্তব। কিলিয়ান এমবাপ্পে রিয়ালের হয়ে গত অগাস্ট থেকেই...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ