জর্ডানের বাদশাহকে উৎখাতে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইসরাইলি ষড়যন্ত্রকে সমর্থন করেছেন বলে গুঞ্জন আছে। তিনি জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহকে সরিয়ে নিজে জেরুসালেমের পবিত্রস্থানের (আল-আকসা) দায়িত্ব নিতে চান বলে এ কাজ করেছেন বলে প্রতিবেদন করেছে লেবাননের আল-আখবার সংবাদপত্র।
এ সংবাদপত্রটি জর্ডানের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহকে উৎখাতের এ ষড়যন্ত্রর সাথে ইসরাইল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বড় ধরনের ও জটিল এ অভ্যুত্থানের সাথে অনেক পক্ষই জড়িত ছিল। কিন্তু বাদশাহ এ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেন। এ অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার মাধ্যমে তিনি অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষা করেন।
সূত্র মতে, ‘বাদশাহর সতর্কতা আর সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের কারণে এ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ অভ্যুত্থানের প্রধান লক্ষ্য ছিল বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহকে সরিয়ে তার ভাই প্রিন্স হামজা বিন আল-হুসেনকে তার পদে বসানো।’
ওই সূত্রটি আরো বলেছে, ‘বাদশাহ আব্দুল্লাহকে পদচ্যুত করার ইসরাইলি এ পদক্ষেপের কারণ হলো জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ‘শতাব্দীর শান্তিচুক্তিকে’ সমর্থন জানায়নি। এ ব্যাপারে জর্ডানের আপত্তির কারণ হলো, এ পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনিদের জন্য আলাদা বাসভূমি খোঁজার কথা বলা হয়েছে আর জর্ডান উপত্যকাকে ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
ওই সংবাদপত্রে আরো বলা হয়েছে, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ইসরাইলের ষড়যন্ত্রকে সমর্থন করার কারণ হলো তিনি জর্ডানকে সরিয়ে অধিকৃত জেরুসালেমে অবস্থিত পবিত্র স্থানগুলোর অভিভাবকত্ব নিতে চান।’
সূত্র : মিডল ইস্ট মিরর