spot_img

ইরফান সেলিমের জামিন বহাল, কারামুক্তিতে বাধা নেই

অবশ্যই পরুন

 ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রোববার (২৫ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেমের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

ইরফান সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে ইরফান সেলিমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেমের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

গত ১৮ মার্চ ইরফান সেলিমকে জামিন দেন হাইকোর্ট। ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে ২৮ মার্চ ৪ সপ্তাহের জন্য তার জামিন স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্যও পাঠান।

পরে জামিনের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার (স্টে ভ্যাকেট) চেয়ে আবেদন করেন ইরফান সেলিম। সেটিও শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান চেম্বার জজ আদালত।

এর আগে গত ২৮ মার্চ ইরফান সেলিমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এতে তিনি মুক্তি পাবেন না বলে মনে করেন আইনজীবীরা।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় গত ১৮ মার্চ ওই মামলায় ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। ২৮ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। এ সময় পরে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আসবে বলে জানান আদালত।

আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। ইরফানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ। তারও আগে ধানমন্ডি থানায় করা ওই মামলায় জামিন চেয়ে ইরফানের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট তার জামিন প্রশ্নে রুল দেন। রুলের শুনানি নিয়ে গত ১৮ মার্চ ইরফানের জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।

২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খানকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ইরফান ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পরদিন ২৬ অক্টোবর সকালে বাদী হয়ে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ ধানমন্ডি মডেল থানায় মামলা করেন। ইরফানসহ চারজন ও অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

অন্য মামলায় গত বছরের ২৭ অক্টোবর ইরফানকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ২৮ অক্টোবর ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ধানমন্ডি থানার মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর বিফল হন ইফরান সেলিম। পরে তিনি চলতি বছরের জানুয়ারিতে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় ইরফানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।

ধানমন্ডি থানায় হওয়া মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২৫ অক্টোবর রাতে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহম্মেদ খান। সেসময় সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়ি তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। ওই গাড়িতে ছিলেন হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ও তার লোকজন। ওয়াসিফ নিজের পরিচয় দিয়ে গাড়িটিকে থামতে ইশারা করেন। কথা বলতে চান। তখন তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন ইরফান সেলিম ও তার লোকজন।

সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ ও অসদাচরণের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত বছরের ২৬ অক্টোবর ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম আলী মিয়া জানান, এই মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম (৩৭), তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ (৩৫), হাজী সেলিমের মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু (৪৫), গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ (৩০) অজ্ঞাতপরিচয় দু’তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়লো আরও ৬০ দিন

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ