করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘সুনামি’তে ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়তে বসেছে। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বি.১.৬১৭ ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। যেটি সনাক্ত হয় অক্টোবর মাসে। সে কারণে বাংলাদেশে যদি ভারতের এই ভ্যারিয়েন্ট প্রবেশ করে তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ছড়ানোর মাত্রা বেশি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার ডাবল ভ্যারিয়েন্টে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ভারতের এই ভ্যারিয়েন্ট দেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।
বিএসএমএমইউ সি ব্লকের ১০ম তলায় ১০ বেডের নতুন আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন শেষে শনিবার (২৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরও বলেন, ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যেন বাংলাদেশে প্রবেশ না করতে পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগতদের অবশ্যই কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে। যদি ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
এদিকে এবার দেশেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্টের (বি.১.৫২৫) অস্তিত্ব মিলেছে। দেশের দুটি বিভাগ থেকে মার্চ ও এপ্রিল মাসের সংগ্রহ করা নমুনার সিকোয়েন্সিং করে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটার (জিআইএসএইড) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে।