বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৬১.৪৯ ভাগ। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের কাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৩.৫২ ভাগ।
বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের সর্বশেষ অগ্রগতির কথা জানান।
তিনি জানান, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি শতকরা ৫২.২২ ভাগ।
প্রথম মেট্রোরেল ছয় কোচ বিশিষ্ট চব্বিশ সেটে মোট কোচের সংখ্যা ১৪৪টি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তার মধ্যে গতকাল ছয় কোচ বিশিষ্ট প্রথম সেট ঢাকার উত্তরার ডিপোর নবনির্মিত ডিএমটিসিএল জেটিতে পৌঁছেছে।’
দ্বিতীয় সেটের জাহাজীকরণ জাপানের কোবে সমুদ্রবন্দরে গতকাল সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে আগামী ১৬ জুনের মধ্যে দ্বিতীয় সেটটি বাংলাদেশের মংলা বন্দর হয়ে উত্তরার ডিপোতে পৌঁছাবে।’
তৃতীয় ও চতুর্থ সেটের শিপমেন্টের সম্ভাব্য তারিখ ১১ জুন এবং ১৩ আগস্ট তারিখের মধ্যে বাংলাদেশের মংলা বন্দর হয়ে উত্তরার ডিপোতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছেন সেতুমন্ত্রী।
পরে মন্ত্রী গোপালগঞ্জ সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের গোপালগঞ্জ জোনের প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলকে কেন্দ্র করে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা যাওয়া করে। তাই জোনের অধীন সড়কগুলোকে সারা বছরই মেইনটেইন এবং মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে।’
বিআরটিএ’র সেবা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড সংগ্রহ করে লাইসেন্স প্রদান করা এখন জরুরি। প্রয়োজনে ধাপে ধাপে কার্ডের সরবরাহ করতে হবে। এখানে দালাল চক্র সক্রিয়। কাজেই এসব অনিয়মের বৃত্ত ভাঙতে হবে।’