ঘটকালি করে বিয়ে দিয়েছিলেন ২ প্রতিবেশিকে । কিন্তু দাম্পত্য কলহের কারণে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় বউ। এই ঘটনার জের ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে মোজাম্মেল হক (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ । এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও ২ জন। আহত দুজন মোজাম্মেলের ভাই।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ি ইউনিয়নের বাদামবাড়ি হাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোজ্জাম্মেলের বাড়ি ইউনিয়নের কইকরি গ্রামে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম।
আহত ব্যক্তি আশরাফুল ও বাবুলের অভিযোগ, প্রতিবেশি এক মেয়ের সাথে কয়েক বছর আগে বিবাহ হয় প্রতিবেশি লতিফের। ঝগড়া বিবাদের কারণে ওই মেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে চলে যায়। আর এই বিয়ের ঘটক ছিল মোজ্জামেল। ওই নারী দীর্ঘ দিনেও কেন স্বামীর বাড়িতে যায় না এ নিয়ে প্রতিবেশি কামাল হোসেনের সাথে বাক বিতণ্ডা হয় কয়েকদিন ধরে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে আপোষ-মিমাংসায় বসেন।
এসময় কামাল হোসেন ও মোজাজ্ম্মেলের সাথে হাতাহাতি হয়। এছাড়া জমির বিরোধও ছিল কামাল ও মোজাম্মেলের সাথে। পরে এ ধরনের বিরোধকে কেন্দ্র করে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বাদামবাড়ি হাটে মোজাম্মেলকে একা পেয়ে প্রকাশে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করে।
আহত অবস্থায় বালিয়াডাঙ্গী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে গুরুতর অবস্থায় মোজাম্মেল ও বাবুলকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোজাম্মেল।
বড়পলাশবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কামাল হোসেন ও মোজাম্মেলের মধ্যে আগে থেকে কয়েকটি বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিলো। এ ঘটনায় সংঘর্ষে আজকে তার প্রাণ গেল।