খুব শিগগিরই ‘বিদ্রোহী’ টুর্নামেন্ট ‘ইউরোপিয়ান সুপার লিগ’ শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে যাচ্ছে। তারই প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা আবারো দিয়েছে কড়া হুশিয়ারি, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধ করা হবে ওইসব ক্লাবকে। এতেই বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধি হতে পারেন বার্সেলোনার লিওনেল মেসি ও জুভেন্টাসের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
নিজস্ব সুত্রের বরাত দিয়ে রবিবার ইতালির পত্রিকা লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত এক প্রতিবেদনে জানায়, সুপার লিগে অংশ নিতে যাওয়া ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি ইউরোর মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে উয়েফা। ১১টি ক্লাবের নামও প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সেগুলো হলো-রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, আতলেতিকো মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, আর্সেনাল, টটেনহ্যাম হটস্পার, চেলসি, জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান ও এসি মিলান।
উয়েফা নিজেদের ওয়েবসাইটে রোববার এক বিবৃতিতে এই সব ক্লাবকে নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়ার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করে দেয়।‘আমরা আবারও বলতে চাই যে, আমরা…ফিফাসহ এবং আমাদের সব সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ থেকে এই বিধ্বংসী প্রকল্প বন্ধ করতে কাজ করব। গুটি কয়েক ক্লাব শুধু তাদের নিজেদের স্বার্থে এই পরিকল্পনা করেছে, বিশেষ করে যখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন আরো বেশি সামাজিক সংহতির প্রয়োজন’।
‘ক্রীড়াগত ও আইনিভাবে যত কিছু করা সম্ভব, এই প্রকল্প প্রতিহত করতে তার সবকিছুই করব আমরা। উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ও খেলাধুলার মানের ওপর ফুটবল গড়ে উঠেছে; অন্য কোনোভাবেই তা হতে পারে না’।
কয়েক দশকের প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামে পরিচিত ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ‘ইউরোপিয়ান সুপার লি’ নামে নতুন একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছিল অনেক বছর ধরে। সেটাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে গত দুই বছর থেকে খবর আসতে শুরু করে।
গত জানুয়ারিতে, ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা (ফিফা) এর বিপক্ষে নিজেদের অবস্থান জানায়। পরিষ্কারভাবে সংস্থাটি বলে, এতে অংশ নিলে বিশ্বকাপসহ ফিফা আয়োজিত কোনো প্রতিযোগিতায় ওই দলের খেলোয়াড় খেলতে পারবে না। ফিফার ওই হুমকির পর বেশ কিছুদিন ‘সুপার লিগ’ নিয়ে তেমন কোনো খবর শোনা যায়নি। তবে সম্প্রতি আবারও তা শুরু হয়েছে। এরপরই নিজের কঠোর অবস্থানের কথা মনে করিয়ে দিল উয়েফা।