১২ বলে দরকার ২৭ রান। অনেকটাই কঠিন ছিল রাজস্থানের জয়ের পথ। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে পেসার ক্রিস মরিস হয়ে উঠলেন পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান। ১৯তম ওভারে হাকালেন দুই ছক্কা। শেষ ওভারে ১২ রানের সমীকরণে সেই মরিস হাকালেন আরো দুই ছক্কা। চার ছক্কায় রাজস্থান রয়্যালসকে আইপিএলে প্রথম জয়ের স্বাদ দিলেন সবচেয়ে দামি এই ক্রিকেটার।
বৃহস্পতিবার আইপিএলে লো স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান। জবাবে মিলার ও মরিস তান্ডবে দুই বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে রাজস্থান, ১৯.৪ ওভারে সাত উইকেটে ১৫০ রান। চলতি আইপিএল দুই ম্যাচে রাজস্থানের এটি প্রথম জয়। দুই ম্যাচে দিল্লির এটি প্রথম হার।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রাজস্থানের শুরুটা ছিল খুবই বাজে। ৪২ রানে দলটি হারায় ৫ উইকেট। অধিনায়ক স্যামসনসহ শীর্ষ সারির পাচ ব্যাটসম্যান ছুতে পারেননি দুই অংকের রান। এমন অবস্থায় দলের হাল ধরেন প্রথম খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার। জয়ের ভিত্তি তিনিই গড়ে দেন। খেলেন ৪৩ বলে ৬২ রানের দারুণ ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল সাতটি চার ও দুটি ছক্কার মার।
মিলালের বিদায়ের পর শঙ্কায় পড়েছিল রাজস্থান। যেখানে বলের চেয়ে রানের ব্যবধান ছিল দ্বিগুণ। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ১৮ বলে চার ছক্কা ৩৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে দারুণ জয় উপহার দেন আরেক সাউথ আফ্রিকান ক্রিস মরিস। তার সাথে সাত বলে এক ছক্কায় ১১ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল তিওয়াতি।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি দিল্লি। এদেরও টপ অর্ডারের পাচ ব্যাটসম্যান ছুতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। অধিনায়ক রিশব পন্থের ৩২ বলে ৫১ রানের ইনিংস দলকে সম্মানজনক স্কোরে নিতে সাহায্য করে। টিম কুরান ২১, ললিত যাদব ২০ রান করেন।
বল হাতে রাজস্থানের হয়ে আস্থার প্রতিদান দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় ২টি উইকেট তুলে নেন তিনি। প্রথম ওভারে দেন এক রান, পান এক উইকেট। পরের ওভারগুলো ছিল ইনিংসের শেষের দিকে। ফলে রান বেড়ে যায় একটু।
মোস্তাফিজের ছন্দে ফেরার দিনে বল হাতে শাসন করেছেন রাজস্থানের জয়দেব উনাদকাত। বাঁহাতি এই পেসার ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রানে ৪টি উইকেট নেন। দলের বাকিরাও এদিন নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন।