করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে ৪৯ শতাংশ নারীই নিজেকে নিরাপদ মনে করেন না। কোভিডকালীন ও তার পরবর্তী সময়ে ঘরে এবং বাইরে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এমন সংকট তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
‘সরকারের আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধার ব্যবস্থা : নারীরা কতটা উপকৃত হয়েছে’ শীর্ষক আয়োজিত ওয়েবিনারে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন তার প্রবন্ধে এসব তথ্য উপস্থাপনা করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. রওনক জাহান ওয়েবিনার সংলাপটি পরিচালনা করেন।
ফাহমিদা খাতুন তার উপস্থাপনায় বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে ৪৯ শতাংশ নারী ও বালিকা বলছে লকডাউন পরিস্থিতিতে তারা নিজেকে নিরাপদ মনে করেন না। কারণ কোভিড পরবর্তী সময়ে ধর্ষণ ও অভ্যন্তরীণ নারী নির্যাতন আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও বালিকা পর্যায়ে ভায়োলেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিপিডি বলছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লকডাউন সময়ে ৫৪ শতাংশ গৃহকর্মী ও ১৯ শতাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক তাদের চাকরি হারিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক বিয়ের হার ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। একই সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের প্রেগনেন্সি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। যা নারী স্বাস্থ্য বিবেচনায় চিন্তার বিষয়ে।
সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক লিনা রশিদ, পারসোনার সিইও কানিজ আলমাস ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম প্রমুখ।