যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস শহরে পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ডন্টে রাইটের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় সহিংস বিক্ষোভকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক নিহতের ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
স্থানীয় সময় সোমবার (১২ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘মিনিয়াপোলিস শহরে যেটা ঘটেছে সেটা সত্যিকার অর্থেই মর্মান্তিক। কিন্তু আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে তদন্তে কী তথ্য বেরিয়ে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, আন্দোলনের নামে কেউই লুটপাট করতে পারে না, এটা অযৌক্তিক। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীরা নিশ্চয়ই এটা বুঝবেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস শহরের কাছে ডন্টে রাইট নামে ২০ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করার পর সেখানে আবারও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষোভ দমাতে আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। ব্রুকলিন সেন্টার শহরে জারি করা হয় কারফিউ। ব্রুকলিন সেন্টারের মেয়র বিক্ষোভকারীদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ব্রুকলিন সেন্টারের পুলিশ সদর দফতরের বাইরে শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে ডন্টে রাইটের নামে স্লোগান দিতে থাকেন। মিনিয়াপোলিস শহর থেকে জায়গাটি মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের দমাতে দাঙ্গা পুলিশ রাস্তায় নামলে উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং জনতা পুলিশের দু’টি গাড়ির ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। প্রতিবাদকারীরা সে সময় ডন্টে রাইটের স্মরণে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের সময় কিছু দোকানপাটে লুটপাট শুরু হলে মেয়র শহরে কারফিউ জারি করেন।
সূত্র: এএফপি