করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। নিজ কর্মক্ষেত্র এলাকা ত্যাগ না করতে এবং অতিপ্রয়োজনীয় ছাড়া বাহিরে না গিয়ে বাসায় থেকে কাজ করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
তিনি আজ মন্ত্রণালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এলজিইডি’র মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের সাথে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময়কালে এসব কথা জানান ।
স্থানীয় সরকার মস্ত্রী বলেন, এলজিইডি, ডিপিএইচইসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সকল প্রতিষ্ঠান দেশের সামগ্রিক উন্নতির চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেহেতু নির্মাণ কাজ করা যায় সে জন্য এটি অব্যাহত রাখতে হবে। এলজিইডি এদেশের গ্রামীণ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। যার সাথে মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে। তাই জেলা ও উপজেলাসহ সকল প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, নিম্নমানের কাজের সাথে সম্পৃক্ত অথবা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলা রুজু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া, ঠিকাদার যদি কাজে কোনো গাফিলতি করে তার বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প নিতে হবে। যত্রতত্র রাস্তা ব্রিজ নির্মাণ করা যাবে না। প্রয়োজনে হাইড্রোলজিক্যাল, মরফোলজিক্যাল স্ট্যাডির মাধ্যমে নেভিগেশন সুবিধা নিশ্চিত করে করতে হবে।
উন্নয়নের স্বার্থে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয় তার সঠিক প্রাক্কলন করতে হবে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, নির্দিষ্ট টাইম সিডিউলের মাধ্যমে টেন্ডার আহবান, ইভালুয়েশান করে কাজের নোটিফিকেশন দিতে হবে। এক্ষেত্রে অযথা সময়ক্ষেপন করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
এসময় উন্নয়ন কাজ যখন শুরু হওয়ার পর মনিটরিং জোরদার এবং কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প সময়মতো শেষ করতে সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সারা পৃথিবীতে যে অপ্রত্যাশিত দুর্যোগ তৈরি হয়েছে তা মোকাবেলা করেই আমাদের টিকে থাকতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হতে হলে সাড়ে ১২ হাজার ডলার মাথাপিছু আয় দরকার। আর সাড়ে ১২ হাজার ডলার মাথাপিছু আয় করতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সকল খাতে ব্যাপক উন্নয়ন দরকার বলে মন্তব্য করেন মো. তাজুল ইসলাম।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খানসহ জেলা ও উপজেলার প্রকৌশলীবৃন্দ অংশ নেন।