spot_img

মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বড় বাধা চীন-রাশিয়া: ইইউ

অবশ্যই পরুন

মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন এবং রাশিয়া। রোববার এক ব্লগপোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনৈতিক বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল।

ব্লগপোস্টে বরেল বলেন, ‘মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ পর্যন্ত যত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে, তার প্রায় প্রত্যেকটিতে বাধা দিয়েছে চীন এবং রাশিয়া। সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদ সেখানে বিক্ষোভে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চেয়েছিল, যথারীতি সেখানেও তারা আপত্তি জানিয়েছে।’

‘মিয়ানমারে প্রভাব বিস্তারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা চলছে। এটিও আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠা উদ্যোগের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে। তবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাওয়া।’

২০২০ সালের নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের নেতৃত্বে সংঘটিত এই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও বন্দি করা হয় দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের।

বিক্ষোভের পরপরই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী জনতা। সামরিক শাসনের অবসান এবং সু চিসহ অন্যান্য বন্দিদের মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়।

বিক্ষোভের প্রথম দিকে ক্ষমতাসীন জান্তা দৃশ্যত সহনশীলতার পরিচয় দিলেও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাবার বুলেট, লাঠি, জলকামানের পাশাপাশি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয়।

নিরাপত্তা বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার শুরুর পর থেকে মিয়ানমারের দৈনিক মৃত্যুর হিসাব রাখছে কারাবন্দিদের সহায়তা দানকারী বেসরকারী সংস্থা অ্যাসিস্টান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি)। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ছয় শতাধিক নিহত হয়েছেন, রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে কারাগারে আছেন ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

এদিকে সু চিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠায় অভ্যুত্থানের পর থেকেই সরব হয়েছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো। গত মার্চে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইংসহ অভ্যূত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১১ সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

রোববারের ব্লগ পোস্টে জোসেপ বরেল জানিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরো বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও মিয়ানমার সেনা নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি চলছে।

সূত্র: রয়টার্স

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠার অনুঘটক বিচার বিভাগ: ইফতেখারুজ্জামান

শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। শনিবার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ