মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন এবং রাশিয়া। রোববার এক ব্লগপোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনৈতিক বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল।
ব্লগপোস্টে বরেল বলেন, ‘মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ পর্যন্ত যত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে, তার প্রায় প্রত্যেকটিতে বাধা দিয়েছে চীন এবং রাশিয়া। সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদ সেখানে বিক্ষোভে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চেয়েছিল, যথারীতি সেখানেও তারা আপত্তি জানিয়েছে।’
‘মিয়ানমারে প্রভাব বিস্তারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা চলছে। এটিও আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠা উদ্যোগের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে। তবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাওয়া।’
বিক্ষোভের পরপরই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী জনতা। সামরিক শাসনের অবসান এবং সু চিসহ অন্যান্য বন্দিদের মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়।
বিক্ষোভের প্রথম দিকে ক্ষমতাসীন জান্তা দৃশ্যত সহনশীলতার পরিচয় দিলেও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাবার বুলেট, লাঠি, জলকামানের পাশাপাশি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয়।
নিরাপত্তা বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার শুরুর পর থেকে মিয়ানমারের দৈনিক মৃত্যুর হিসাব রাখছে কারাবন্দিদের সহায়তা দানকারী বেসরকারী সংস্থা অ্যাসিস্টান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি)। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ছয় শতাধিক নিহত হয়েছেন, রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে কারাগারে আছেন ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
রোববারের ব্লগ পোস্টে জোসেপ বরেল জানিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরো বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও মিয়ানমার সেনা নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র: রয়টার্স