করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে বাংলাদেশে ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে; মহামারি শুরুর পর থেকে এ যাবৎকালের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু। গত এক বছরেরও বেশি সময়জুড়ে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ৯ হাজার ৭৩৯ জনের।
মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটি গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে দেশের আরও ৫ হাজার ৮১৯ জনের দেহে। মহামারি শুরুর পর থেকে সব মিলিয়ে এই শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৬ এ। সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভে গত কয়েক দিন ধরেই ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে আসছিল। তবে শনিবার থেকে এ সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
রোববার (১১ এপ্রিল) সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনাভাইরাস বিষয়ে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৯ হাজার ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের মধ্যে প্রতি একশো জনে ১৯ দশমিক ৮১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
সংক্রমণের হারের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে মোট ৫০ লাখ ২ হাজার ৮৬৫টি নমুনা পরীক্ষার তুলনায় বাংলাদেশে গত এক বছরে শতকরা ১৩ দশমিক ৬৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৩ জন নারী ২৫ জন।
অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা নারীদের অন্তত তিনগুণ বেশি।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ হাজার ২১২ জন কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯০ জন সেরে উঠলেন প্রাণঘাতি এই ভাইরাস থেকে।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সে বছরের ১৮ মার্চ।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু রেখেছে সরকার। এছাড়াও ভাইরাসটির প্রতিরোধে গত মার্চ থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে গণ টিকাদান কর্মসূচী।
এক নজরে বাংলাদেশের করোনা চিত্র:
মোট শনাক্ত: ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৬ জন
মারা গেছেন: ৯ হাজার ৭৩৯ জন
মোট সুস্থ: ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯০ জন
মোট নমুনা পরীক্ষা: ৫০ লাখ ২ হাজার ৮৬৫টি