রাজধানীতে পিলখানার ভেতরে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের কাছ থেকে লাইলি আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্বজনদের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী ফারজানা ইসলামকে আট করা হয়েছে। ফারজানা ইসলাম বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের শিক্ষক।
লাইলী, লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত সিরাজের মেয়ে। তিন বোন দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল ছোট। লাইলী’র মা শ্যামলা বেগম গ্রামের বাড়িতে ভিক্ষাবৃত্তি করেন।
নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুল বিশ্বাস মুকুল তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিজিবি হেড কোয়ার্টার এর অভ্যন্তরে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক আবাসিক ভবন এর এক-এইচ চতুর্থ তলার ফ্লাটের শিক্ষিকা ফারজানা ইসলামের বাসা থেকে শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকাল পাঁচটায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ছয় মাস পূর্ব থেকে ঐ বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো লাইলী আক্তার। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
লাইলী আক্তারের মা শ্যামলা বেগম ও তার চাচা নুরুল ইসলাম জানান, লাইলীর ফুফুর মাধ্যমে গত আট মাস পূর্বে ওই বাসায় এক হাজার টাকা বেতনে কাজ নেয়।
তাদের দাবি লাইলীকে হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা, কি কারণে তাকে হত্যা করেছে সেটি পুলিশকে তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছে তারা।