spot_img

কোচবিহারে মমতাসহ রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

অবশ্যই পরুন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে পাঁচ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে চার জন নিহত হয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে। আর এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহার জেলায় রাজনীতিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

শনিবারের এই ঘটনার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রোববার সকালেই নিহতদের বাড়িতে গিয়ে তাদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এ লক্ষ্যে শনিবার বিকেলেই তিনি রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে পৌঁছে গেছেন। কিন্তু রাতে নির্বাচন কমিশনের জারি করা নিষেধাজ্ঞার পর সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। তার দল তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বলছে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে মমতা নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন।

শনিবার রাতে দেশটির নির্বাচন কমিশনের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘কোচবিহারের ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে। কিন্তু আগামী ৭২ ঘণ্টা ওই জেলার ভৌগলিক সীমানার মধ্যে কোনো জাতীয় বা আঞ্চলিক বা অন্য কোনো দলের রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’

একইসঙ্গে উত্তেজনা কমাতেও নেওয়া হয়েছে নতুন উদ্যোগ। কমিশন বলছে, নির্বাচনের পঞ্চম দফা থেকে ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে নয়, ৭২ ঘণ্টা আগে শেষ করতে হবে প্রচার-প্রচারণা।

তবে নির্বাচন কমিশনের এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, মমতাকে আটকাতেই কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার কথায়, মমতা উত্তরবঙ্গে রয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তিনিই নেবেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, কোচবিহারের শীতলকুচি আসনের জোড়পাটকি ভোটকেন্দ্রের ১২৬ নং বুথের বাইরে শনিবার গুলিবর্ষণ করে ভারতের কেন্দ্রীয় বাহিনী। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় চারজন। নিহতরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। এ ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানতে চায় নির্বাচন কমিশন।

তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি’র হয়ে কাজ করছে। রাতভর মদ-মাংস খেয়ে সকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্ব যাদের কাঁধে, তাদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মমতার শিবির।

স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।’

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ