মর্যাদার লড়াই এল ক্লাসিকোতে জয় পেলে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে যেত বার্সেলোনা। তবে শনিবারের রাতটা লিওনেল মেসিদের ছিল না। রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারতে হয়েছে ২-১ গোলের ব্যবধানে। এই হারের পর ক্ষুব্ধ বার্সা কোচ রোনাল্ড কোম্যান অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন দুটি পেনাল্টি না পাওয়াকে। কাঠগড়ায় তুলেছেন রেফারির আর প্রযুক্তিকে।
৬৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে ছিল বার্সা। এ ম্যাচ জিতলে চূড়ায় উঠে যেত তারা। তবে ম্যাচে নড়বড়ে রক্ষণের খেসারত দিতে হয়েছে তাদের। রিয়ালের ঘরের মাঠ আলফ্রেড ডি স্টেফানোতে প্রথমার্ধেই দুই গোল হজম করে বসে সফরকারীরা। যদিও ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় একটি গোল শোধ দিয়েছিল বার্সা। তবে বাকি সময় গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় ম্যাচ বাঁচানো যায়নি।
এই ম্যাচ হারের পার বার্সা কোচ কোম্যান ক্ষোভ ঝেড়েছেন রেফারির আর ভিএআর এর ওপর। কোম্যানের দাবি, ম্যাচে অন্তত দুটি পেনাল্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের। ম্যাচের ৩৮ মিনিটের সময় প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জের মুখে রিয়াল মাদ্রিদের ডি-বক্সের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন উসমান দেম্বেলে। এতে প্রতিবাদী হয়ে পেনাল্টির আবেদন করেন তারা। তবে রেফারি হেসুস গিল মাঞ্জানো সাফ না করে দেন।
দ্বিতীয়র্ধেও পেনাল্টির কড়া আবেদন জানিয়েছিল বার্সা। ম্যাচের ৮৩ মিনিটের মাথায় মার্টিন ব্র্যাথওয়েট শট প্রতিহত করতে বাধা হয়ে দাঁড়ান ফারল্যান্ড মেন্ডি। বার্সা খেলোয়াড়রা ক্ষিপ্রতার সঙ্গ রেফারির কাছে পেনাল্টির আবেদন জানালে উল্টো শাস্তি ভোগ করতে হয় তাদের। মাঠে থাকা জর্দি আলবাকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন রেফারি। পেনাল্টির আবেদনের কারণে ডাগ আউটে থাকা বার্সা কোচ রোনাল্ড কোম্যানও হলুদ কার্ড দেখেন।
ম্যাচ শেষে রেফারির আর প্রযুক্তিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কোম্যান বলেন, ‘সবাই দেখেছে দুটি পরিস্কার পেনাল্টি থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। আমি রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে খুবই হতাশ এবং অখুশি। আমি রেফারিদের বলতে চাই, তারা যেন মাঠে সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত দেন। আর আমি মাঠে ওই সময় রেফারিকে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতেই বলছিলাম কারণ ওটা পরিস্কার পেনাল্টি ছিল।’
নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত সময় কম দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কোম্যানের। সঙ্গে ভিএআরকেও দুষেছেন তিনি, ‘অতিরিক্ত সময় ছিল মাত্র চার মিনিট। তবে সেটা আরও বেশি দেওয়া উচিৎ ছিল। স্পেনেল কেন ভিএআর আছে আমি এটাই বুঝি না। সবাই দেখেছে ওটা পরিস্কার পেনাল্টি ছিল।’