বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাকিবুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে তিনি এঘটনার দায় স্বীকার করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, এর আগে তিনি একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে এমন কাজ করেছেন। এলাকায় তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও কেউ মুখ খুলছেনা। তিনি কালিগঞ্জের কফিলউদ্দীন হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।
এর আগে, কালিগঞ্জের কফিলউদ্দীন হাফেজিয়া মাদ্রাসার হোস্টেল থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে আনোয়ারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি উপজেলার কালিকাপুর মোড়লপাড়ায়।
পুলিশ জানায়, শিক্ষক আনোয়ার হেফজ বিভাগের ১২ ছাত্রকে বলাৎকার করতেন এবং ছবি ধরে রাখতেন মোবাইল ফোনে। সেই ছবি দেখিয়ে ছাত্রদের ভয় দেখাতেন। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বলাৎকার করছিলেন। একপর্যায়ে শিশুরা মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির একজনকে বিষয়টি জানালে তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর পুলিশ তাকে আটক করে। জব্দ করা শিক্ষকের মোবাইলটিতে বলাৎকারের ছবি দেখা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কালিগঞ্জ থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।