চীনের জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে গত তিন দশকের বেশি সময়ের পর গত মাসে প্রথমবারের মতো চীনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপীয় জোট। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চীনের সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছে চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ইইউ প্রতিটি বিষয় স্বাধীনভাবে বিবেচনা করবে।’
গতকাল বুধবার জার্মানির চ্যান্সেলর আঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন সি জিন পিং। এই সময় তিনি ম্যার্কেলের উদ্দেশে এসব মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে চীন সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘টেলিফোন আলাপে সি জিন পিং বলেন- চীন ও ইইউর একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা উচিত এবং যেকোনো ইস্যুতে হস্তক্ষেপের ঘটনা কমিয়ে আনতে দুই পক্ষের সচেষ্ট থাকা দরকার। এ সময় করোনার টিকার সুষ্ঠু ও যুক্তিসংগত বিতরণ নিশ্চিত করা এবং টিকা জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েও দুই নেতার কথা হয়েছে।’
জার্মান সরকারের মুখপাত্র উলরিক দেমের বলেন, ‘কোভিড-১৯ টিকার উৎপাদন ও বিতরণ নিয়ে বৈশ্বিক উদ্যোগের বিষয়ে আলাপ করেছেন আঞ্জেলা মার্কেল ও সি জিন পিং। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধের বিষয়েও তাদের কথা হয়েছে। চীন-জার্মান দ্বিপক্ষীয় মিত্রতা জোরদারে চলতি মাসের শেষের দিকে সরকারি পরামর্শক পর্যায়ে আলোচনায় সম্মতি দিয়েছেন দুই নেতা।
সূত্র : রয়টার্স।