আর মাত্র দুদিন পরই রাজ্যে চতুর্থ দফার বিধানসভা নির্বাচন। ভোট হবে সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্রে। এর আগে বুধবার (৭ এপ্রিল) আচমকা সিঙ্গুর সফরে গেলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সঙ্গে অঞ্চলটিতে শিল্প নগরী গড়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে গেলেন বিজেপির তারকা প্রচারক অমিত শাহ।
ভারতের মিডিয়ার দাবি, এই সিঙ্গুরে একদিন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্বপ্নের গাড়ির কারখানা রুখে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ও তাদের সহযোগীরা। সিঙ্গুরের সেই আন্দোলনে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবই বদলে যায়। সেই সিঙ্গুরেই শিল্পের স্বপ্ন ফেরি করলেন চতুর্থ দফার নির্বাচনের আগে প্রচার করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন অমিত শাহ বলেন, শুধু ছোট বা মাঝারি নয়, রাজ্যে বড় শিল্প আনবে বিজেপি। শিল্প ফিরবে সিঙ্গুরেও। যদিও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিঙ্গুরে কারখানা কেন করতে দেওয়া হয়নি সেই প্রশ্নের জবাব অবশ্য তৃণমূল বা বিজেপির পক্ষ দেওয়া হচ্ছে না।
সিঙ্গুর ইস্যুতেই ২০১১ সালে রাজ্যের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়। আর সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রে ছিল সিঙ্গুর। টাটার ন্যানো গাড়ির কারখানা ঘিরে সেসময় রাজ্য রাজনীতিতে বামবিরোধী হাওয়া প্রবল হয়েছিল। ক্ষমতায় এসে শিল্পের জন্য গৃহীত জমি কৃষকদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। যদিও সেই জমিতে চাষ হয়নি।
কিছুদিন আগে সিঙ্গুরে সভা করে সেই এলাকার মানুষের আবেগকে উস্কে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, সিঙ্গুর আমার আন্দোলনের স্থান। সিঙ্গুরে আমার আবেগ জুড়ে রয়েছে।
ক্ষমতায় ফিরে সিঙ্গুরে অ্যাগ্রোপার্ক তৈরির প্রতিশ্রুতিও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই সিঙ্গুরে ভোটের আগে প্রচারে এসে শিল্প গড়ার স্বপ্ন দেখালেন অমিত শাহ।
তবে রাজ্যে কে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হবেন সেই প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ বলেন, কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা এখনো ঠিক হয়নি। তবে বিজেপি যে দুই শতাধিক আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে সেটা অমিত শাহ নিশ্চিত করে জানিয়ে দেন এদিন।
বুধবার সিঙ্গুরের পর ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে রোড শো করেন অমিত শাহ। সেই প্রচার থেকে অমিত শাহ দাবি করেন, প্রথম তিন দফা নির্বাচনে ৬৩-৬৮টি আসন পাবে বিজেপি। নিয়ম মেনে এদিন প্রচার শেষ করে অমিত শাহ দলের এক কর্মীর বাড়িতে দুপুরের খাবার খান।