spot_img

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায়ও সহিংসতার শঙ্কা

অবশ্যই পরুন

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ আজ (মঙ্গলবার)। ভোট হচ্ছে ৩ জেলার ৩১ কেন্দ্রে। হাওড়া ও হুগলি জেলায় ভোটের অবশ্য এটাই প্রথম দফা। দুই জেলার যথাক্রমে ৭ ও ৮টি আসনে ভোট হচ্ছে। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট হচ্ছে ১৬টি আসনে।

রাজ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনা আমালে নিয়ে এবার নিরাপত্তার দিকে কড়া নজর রেখেছে কমিশন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির ঝুঁকিপূর্ণ আসনের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৭০৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুধুমাত্র বুথের নিরাপত্তায় থাকছে ৬১৮ কোম্পানি। প্রতিটি বুথেই আছে আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য। কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের নির্বাচনে ৩১টির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। তাই এই জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও বেশি।

নির্বাচনে মূল লড়াই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্ট-বিজেপির মধ্যে। এরই মধ্যে ভোটের আগের রাতে নির্বাচন কমিশন ভবনে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উষ্কানী দেয়ার অভিযোগ দিয়ে এসেছেন মুখতার আব্বাস নকভি, জি ভি এল নরসিংহ রাওসহ বিজেপির কয়েক জন শীর্ষ নেতা।

রাজ্যের নতুন পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে সোমবার জানিয়েছেন গত দু দফায় কোনও ভোটদাতার কাছ থেকে এরকম কোনও অভিযাগ আসেনি যে তিনি ভোট দিতে পারেননি। এমনকি কোথাও জাল ভোটের অভিযোগ আসেনি।

তৃতীয় দফায় পর্যবেক্ষকদের জন্য ১০ দফা নির্দেশ দিয়েছেন বিবেক দুবে। নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-

১. কোনও পর্যবেক্ষক কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একান্তে দেখা করতে পারবেন না।

২. নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা কারও সঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনারে যেতে পারবেন না।

৩. রুমে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা অন্য কোন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করা যাবে না। দেখা করতে হলে হোটেলের লাউঞ্জে বসে কথা বলতে হবে।

৪. কারও কাছ থেকে কোন উপহার নেয়া যাবে না।

৫. রাজনৈতিক ব্যক্তির সাথে আলাদা করে দেখা করা যাবে না।

৬. গোপনে কোনও কাজ করা  যাবে না। সবকিছু করতে হবে প্রকাশ্যে।

৭.  ভোটের দিন বা যে কোনও দিন কারও কাছ থেকে খাবার, বিশেষ করে পানীয় নিয়ে খাওয়া যাবে না।

৮. ভোটের দিন কোনো পর্যবেক্ষক রুমে বসে থাকবে না। তাকে এলাকায় এলাকায় ঘুরতে হবে, সাহস যোগাতে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

একইসঙ্গে পরিস্থিতি জানতে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

৯. কারও বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এলে পত্রপাঠ তাকে ফেরত পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই এক মহিলা অফিসারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের জন্য একজন পর্যবেক্ষককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

১০. মানুষ যাতে নিজের ভোট দিতে পারেন তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি পর্যবেক্ষকদের ও সক্রিয় হতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৮৪.৬৩ শতাংশ। আর দ্বিতীয় দফায় ৮৬.১১ শতাংশ। কমিশনের লক্ষ্য, তৃতীয় দফায় ভোটের হার আরও বাড়ানো। ভোট শান্তিপূর্ণ করতে, ‘ওয়েব কাস্টিং’-এর উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

বিভক্ত হলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হওয়ার পথ খুঁজে পাবে: জামায়াত আমির

দেশের মানুষ ৭ নভেম্বর ও ৫ আগস্টের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ