spot_img

রাতে কারফিউ জারি থাকবে দিল্লিতে

অবশ্যই পরুন

ভারতে আবার মহামারি করোনার ভয়াবহ প্রকোপ শুরু হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এরপর রয়েছে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি। তাই নগর কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়েছে, আজ থেকে দিল্লিতে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা কারফিউ শুরু হবে। এই কারফিউ চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

গত মাস থেকে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করার পর দিল্লি সরকারের নেওয়া এটাই সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ। সম্প্রতি দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যেও রাত্রিকালীন কারফিউ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত শুক্রবার বলেছিলেন, দিল্লিতে এখন মহামারি করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ চলছে। কিন্তু আবার লকডাউন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা লকডাউন জারির কথা বিবেচনা করছি না। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। জনগণের সঙ্গে পরামর্শের পরে এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

কর্মকর্তারা বলছেন, রাত্রীকালীন এই কারফিউ চলাকালীন যান চলাচল বন্ধ থাকবে না এবং যারা করোনার টিকা নিতে যাবেন তাদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে তাদের নিতে হবে একটি ইলেকট্রনিক-পাস।

প্রয়োজনীয় পরিষেবার সঙ্গে যারা যুক্ত এবং যেসব খুচরা বিক্রেতা রেশন, মুদি পণ্য, শাকসবজি, দুধ ও ওষুধের জন্য অনেকদূরে যান তারা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদেরকেও একই পাসের মাধ্যমে অনুমতি দেওয়া হবে। পরিচয়পত্র নিয়ে চলাচল করতে পারবেন বেসরকারি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

গর্ভবতী মা ও যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন তাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য এই কারফিউ জারি থাকবে। প্রয়োজনীয় পরিষেবা এই কারফিউয়ের আওতায় পড়বে না।

শুধু দিল্লি নয় ভারতে ফের প্রকোপ শুরুর পর মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের মতো রাজ্যের কিছু এলাকায় রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। মহরাষ্ট্রের সপ্তাহান্তে লকডাউন ছাড়াও প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ জারি রয়েছে। অপরদিকে রাজস্থানে কারফিউ জারি রয়েছে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত।

সোমবার ভারতে প্রথম একদিনে আক্রান্ত লাখ ছাড়ায়। এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় ভারতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

ব্রিকসে সহযোগী দেশ হলো ইন্দোনেশিয়া

বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের ‘পার্টনার’ বা সহযোগী দেশের মর্যাদা পেয়েছে ইন্দোনেশিয়া। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ