মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সকল ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, ইলিশ মাছ বেড়ে উঠতে কোনভাবেই যাতে বাধা সৃষ্টি না হয় সেজন্য যা যা করা দরকার সরকার তার সব কিছুই করবে।
শ ম রেজাউল আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। আশা করছি ভবিষ্যতে এটা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে। ইলিশ উৎপাদনকারী দেশসমূহের মধ্যে আমরা প্রথম স্থান অর্জন করেছি।’
তিনি বলেন, গত বছর ইলিশ উৎপাদনে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। জাটকা রক্ষায় ও মা ইলিশ আহরণ বন্ধে জলে, স্থলে ও আকাশপথে বিভিন্নভাবে মনিটর করা হয়েছিল। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না।
মন্ত্রী বলেন, ‘ইলিশের অভয়াশ্রমে জাটকা নিধনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যারা কারেন্ট জাল, বেহুন্দী জালসহ অন্যান্য ক্ষতিকর জাল তৈরি করে জাটকা নিধন করে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদান ও জরিমানা করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম্বিং অপারেশনসহ বিভিন্নভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
চলমান করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় দ্বিতীয় ধাপের লকডাউনের কথা উল্লেখ করে শ ম রেজাউল বলেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলে শরীরের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাতে হবে। আর পুষ্টি ও আমিষসমৃদ্ধ খাবারের সবচেয়ে বড় যোগান মাছ, মাংস, দুধ, ডিম থেকে আসে।
তিনি বলেন, লকডাউনে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন, পরিবহণ ও বিপণনে কোন ক্ষতি হবে না। করোনাভাইরাসের মহামারিকালে ও রমজানে মানুষের কাছে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম সহজলভ্য করার জন্য ভ্রাম্যমান বিক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ উপস্থিত ছিলেন।