কয়েকদিন আগেই সমুদ্রের পাড়ে হাঁটতে হাঁটতে কোটি টাকার ‘তিমির বমি’ কুড়িয়ে পেয়েছিলেন থাইল্যান্ডের এক নারী। মুহূর্তেই কোটিপতি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দেশটিতে আরও একবার প্রায় সেরকমই একটি ঘটনা ঘটল। এবার মাত্র ৭০ বাথ বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৯০ টাকার খাবার কিনে, সেই খাবারের মধ্যে কয়েক কোটি টাকার মুক্তা পেলেন আরও এক নারী।
জানা গেছে, থাইল্যান্ডের সাতুন প্রদেশের কোদচাকর্ন তান্তিইউওয়াটকুল নামের ওই নারী ৭০ বাথ দিয়ে খাওয়ার জন্য সামুদ্রিক শামুক কিনেছিলেন। বাড়িতে এসে সেটি টুকরো করার পরই সেটির ভিতরে কমলা রংয়ের একটি জিনিস দেখতে পান। প্রথমে পাথর মনে হলেও, পরবর্তীতে বুঝতে পারেন সেটি আসলে মুক্তা। তাও আবার যে সে নয়, দামি মেলো পার্ল। জানা গিয়েছে, ১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ব্যাসের ওই মুক্তোর ওজন ৬ গ্রাম। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে যার দাম প্রায় ৩ কোটি টাকা। প্রথমে ওই মহিলা এবং তার পরিবার গোটা বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন। কারণ তারা ভেবেছিলেন, জানতে পারলে যে দোকানী ওই খাবার বিক্রি করেছেন, তিনি হয়তো সেটি ফেরত চাইবেন। তবে পরবর্তীতে তারা সেটি বিক্রি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু এই টাকা দিয়ে তারা কী করবেন? এই প্রসঙ্গে কোদচাকর্নের বাবা নিওয়াত জানান, এই মুহূর্তে তাদের প্রায় ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন। কারণ তার স্ত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত। আর তার চিকিৎসার জন্যই ওই মুক্তাটি তারা বিক্রি করবেন। আপাতত কেই ওই ‘মেলো পার্ল’টি কেনার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। তাহলেই সেই টাকা দিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসা করা হবে।
সূত্র: ডেইলি মেইল।