করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দেশে এপর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯ জন মানুষ। এর মধ্যে পুরুষ ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৯৪ জন এবং নারী ১৯ লাখ ৫৫ জন। তাদের মধ্যে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ৯২৩ জনের।
বুধবার (২৪ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতর টিকাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত একদিনে সারাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন ৭৮ হাজার ৮১৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪৪ হাজার ২৬৬ জন এবং নারী ৩৪ হাজার ৫৫১ জন।
৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ টিকাদান কর্মসূচি চলছে। টিকা নেওয়া ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে টিকা নিয়েছেন ১৫ লাখ ৮০ হাজার ১৭২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে টিকা নিয়েছেন ১০ লাখ ২৭ হাজার ৩৮০ জন, রাজশাহী বিভাগে টিকা নিয়েছেন পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪৪ জন, রংপুর বিভাগে টিকা নিয়েছেন পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৬১৭ জন, খুলনা বিভাগে টিকা নিয়েছেন ছয় লাখ ৫৪ হাজার ৮৯৭ জন, বরিশাল বিভাগে টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ২৭ হাজার ৭৪ জন ও সিলেট বিভাগে টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ৬২ হাজার ২২১ জন।
এদিকে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৬৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৯ জন।
গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে। করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।
এদিকে গত ৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। তার আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা করোনাভাইরাসের টিকা নেন।
এছাড়া অনেক বিশেষ ব্যক্তি এবং মন্ত্রীরাও করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দেশব্যাপী এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে।