সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, নগরবাসীর অসহনীয় দুর্ভোগ ও যানজটমুক্ত রাখতেই সরকার পাতালরেল নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শেষে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা শহরে পাতালরেল (সাবওয়ে) নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শীর্ষক সেমিনারে এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। এসময় তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে পাতাল রেল নির্মাণের লক্ষ্যে স্পেনের টিপসা’র নেতৃত্বে যৌথভাবে জাপানের পেডিকো, বিসিএল এসোসিয়েটস, কেএসসি এবং বেটসকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাতাল রেল নেটওয়ার্কের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১টি রুটের এলাইনমেন্ট প্রস্তাব করে। যার মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৪টি রুট প্রাথমিক ডিজাইন কাজের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রুট ৪টি হলো ঝিলমিল থেকে টঙ্গী পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটার, শাহকবির মাজার রোড হতে সদরঘাট পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার, কেরাণীগঞ্জ হতে সোনাপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৪৮ কিলোমিটার।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পটি নির্মাণের ফলে ঢাকা শহরের প্রায় ৮০ লাখ কর্মজীবী মানুষের মধ্যে ৪০ লাখ মানুষ মাটির নিচে স্থানান্তর হবে এবং মাটির উপরিভাগ যানজট ও জনজট মুক্ত হবে।